admin
15th Mar 2021 2:54 pm | অনলাইন সংস্করণ

দেশে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ মার্চেই স্কুল-কলেজ খুলছে। রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের সাধারাণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ক্লাস ৩০ মার্চ থেকে চালু হবে। এ সময়ের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
ফেব্রুয়ারির শেষে ৩০ মার্চ শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ধাপে ধাপে সাত দফা ছুটি বাড়ানো হয়।
শিক্ষামন্ত্রী তখন বলেন, সেখানে আমরা আগেও যেভাবে বলেছি যে, হয়ত পর্যায়ক্রমে, একদম প্রথমে প্রাথমিকে যারা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত, তারা হয়ত প্রতিদিনই আসবেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে দশম ও দ্বাদশ প্রতিদিন আনব। বাকিগুলো হয়ত প্রথমে সপ্তাহে একদিন আসবে, তারপর থেকে সপ্তাহে দুইদিন করে আসবে। তারপর পর্যায়ক্রমে আমরা স্বাভাবিকের দিকে নিয়ে যাব।
তিনি বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি শিক্ষকদের জন্য যে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার কার্যক্রম, তা এর মধ্যে শেষ হবে।
এই সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের টিকাদান শেষ হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। যে যেখানেই অবস্থান করছে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে পাশ্ববর্তী টিকাদান কেন্দ্রে তারা টিকা নিতে পারবে বলে জানান দীপু মনি।
রোজায় ক্লাস চলবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শুধু ঈদের কয়েক দিন ছুটি দেওয়া হবে।
এর আগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমরা এসএসসির জন্য ৬০ কর্ম দিবসের সিলেবাস এবং এইচএসসির জন্য ৮৪ কর্ম দিবসের সিলেবাস দিয়েছি। এর জন্য কত দ্রুত আমরা খুলে দিতে পারি এবং সেখানে স্বাস্থ্যবিধি কীভাবে মানা হবে তারও সব প্রস্তুতি নিয়েছি।’
সর্বশেষ করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে রোববারের বৈঠকে আগের তারিখই বহাল রাখা হয়।
Array