
সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ অবসরে যাচ্ছেন। ২০০০ সালে জেলাজজ হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর ২০১০ সালে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা, জাসদ ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক মোমিন, লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রী স্মৃতি নাথ সীমাকে ধর্ষণের পর হত্যা এবং নরসিংদীর সিক্স মার্ডারের মতো মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর রায় ঘোষণা করে আলোচিত হয়ে আছেন ভবানী প্রসাদ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) শেষ কর্মদিবসে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে তাকে ভার্চ্যুয়ালি বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ১৯৫৩ সালের ৮ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম প্রয়াত সুধীর চন্দ্র সিনহা ও মাতা প্রয়াত বৃহষভানু রাজকুমারী। তিনি ইংরেজিতে এমএ এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৭৯ সালের ১ মার্চ জেলা বারে আইনজীবী হিসেবে তালিকভুক্ত হন। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সলের ২০ এপ্রিল মুন্সিফ হিসেবে (সহকারী জজ) বিচার বিভাগে যোগদান করেন।
২০০০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর তাকে দুই বছরের জন্য হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
সংবিধান অনুসারে ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হলে অবসরে যান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। ৭ আগস্ট তার ৬৭ বছর পূর্ণ হবে। এর মধ্যে শুক্রবার (২৪ জুলাই) থেকে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটি শুরু হচ্ছে। এটি শেষ হবে ৮ আগস্ট (শনিবার)। এ কারণে বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবস হিসাবে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে।
Array