• ঢাকা, বাংলাদেশ

হেলমেটধারী ছাত্রদল নেতা হৃদয় রিমান্ডে 

 admin 
20th Nov 2018 7:14 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

নয়া পল্টনে সংঘর্ষের সময় হেলমেট পরে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্রদল নেতা এইচকে হোসেন আলী ওরফে হৃদয় খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আরও পাঁচ জনকেও হেফাজতে দিতে আদালতের আদেশ পেয়েছে তারা।

অন্যরা হলেন শাহাজানপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ ভূইয়া, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্বাস আলী, ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রবিন, ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন উজ্জ্বল ও ছাত্রদলের তিতুমীর কলেজ শাখার সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম।

মঙ্গলবার আসামিদেরকে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাসের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে চান তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক কামরুল ইসলাম।

গত ১৪ নভেম্বর বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিক্রির তৃতীয় দিনে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় তিনটি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়। একটি গাড়ির ওপরে উঠে ভাঙচুর করা হয়।

এ সময় একটি গাড়িতে আগুন দেয়ার সময় ছবি আসা যুবককে শাহজালাল খন্দকার বলে শনাক্ত করে পুলিশ। তিনি পল্টন ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

অন্যদিকে হেলমেট পরে যিনি পুলিশের গাড়ি ভাঙছিলেন, তার হেলমেট ছাড়াও বেশ কিছু ছবি আসে সেদিন। আর তাকে এইচকে হোসেন আলী ওরফে হৃদয় খান বলে শনাক্ত করে পুলিশ। তিনি ঢাকা মহানগরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রদলের সভাপতি।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, সেদিন বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে আসামিরা বিএনপি কার্যালয় থেকে লাঠি-সোটা নিয়ে রাস্তায় দাঙ্গা করে পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা কয়েকটি ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় তারা ৬০ লাখ টাকার একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

‘আসামিদের মধ্যে হৃদয় থান হেলমেট পরে লাঠি দ্বারা পুলিশের ব্যবহৃত মিটসুবিসি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং হোসেন আলী, সোহাগ ভূইয়া ও আব্বাস আলী তাদের পরিহিত শার্ট খুলে খালি গায়ে আনন্দ প্রকাশ করে এবং পুলিশকে উদ্দেশ্যে করে গালিগালাজ করে। তাই মামলার এজাহারনামীয় অন্যান্য পলাতক আসামিসহ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মুল পরিকল্পনাকারীসহ ইন্ধন ও মদদ দাতাদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহপূর্বক গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা প্রয়োজন।’

আসামিপক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা খান রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘তারা নিশ্চয়ই করেছে। তবে শুধু পুলিশ মারবে, খেয়ে যাবে, কিছু বলবে না তাতো হয় না। পুলিশ বলেছে এরা শনাক্তকৃত, তাহলে রিমান্ডের কী প্রয়োজন।’

সেদিনের সেই সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ মামলা করেছে মোট তিনটি। আসামি প্রায় পাঁচশ। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী নিপুণ রায়সহ ৪৫ জনকে আগেই এসব মামলায় রিমান্ডে নেয়া হয়।

তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপি ভাঙচুরকারীদেরকে ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের নেতা-কর্মী বলে দাবি করেছিল। তবে দলের পক্ষ থেকে যেসব নাম বলা হয়, পরে সেগুলো অসত্য প্রমাণ হয়।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১