
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে আগামী ২৭ মার্চ ঢাকা থেকে ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত আরও একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের উদ্বোধন করা হবে। এটি উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুসর রেল স্টেশন পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়া একটি দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। কেবলমাত্র সড়কের ওপর নির্ভর করে দেশের পরিপূর্ণ উন্নয়ন সম্ভব নয়। এরই অংশ হিসেবে রেলওয়ের উন্নয়নের কাজে হাত দিয়েছে সরকার।
মন্ত্রী আরও বলেন, ভারত তাদের সিংহভাগ পণ্য রেলে আনানেয়া করতে চায়। বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশই রেল যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে আগ্রহী। অর্থনৈতিকভাবে যাতে দুই দেশ উপকৃত হতে পারে, সে বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তাই প্রত্যেক জেলাতে রেল পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। এক্ষেত্রে রেলের লোকবল সঙ্কট দূর করাসহ অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে জোর দেয়া হচ্ছে। অবহেলিত রেলখাতকে এগিয়ে নিতেই দেশের বিভিন্ন রেল স্টেশনগুলোও পরিদর্শন করা হচ্ছে।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, রহনপুর দিয়ে যাতে অদূর ভবিষতে দুই দেশে যাত্রী পরিবহন করা যায়, সে বিষয়টি দেখতে আজকে এখানে এসেছি। এই পথ দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন আনা-নেয়া করার লক্ষ্য রয়েছে। এক্ষেত্রে যেমন আমাদের চাহিদা আছে, তেমন ভারতেরও আগ্রহ আছে। এজন্য রাজশাহী থেকে আব্দুল্লাহপুর, ঈশ্বরদী থেকে জয়দেবপুর, খুলনা থেকে দর্শনা পর্যন্ত এবং ভবিষ্যতে রাজশাহী থেকে আমনুরা পর্যন্ত ডাবল রেললাইন করার পরিকল্পনা রয়েছে। গত বছরের মতো এবারও চলতি মৌসুমে আম, কৃষিপণ্য, শাক-সবজি ট্রেনের মাধ্যমের দেশের বিভিন্ন জেলায় পরিবহনের জন্য বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে।
এদিকে কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলকে বড় দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে বলেন, বড় দলে ভাইয়ে ভাইয়ে, বৌয়ে বৌয়ে, চাচা ভাতিজাতেও ঠেলাঠেলি হয়, এটা বড় কিছু নয়। খোঁজ নিয়ে দেখেন সব দলের মধ্যেই ঠেলাঠেলি আছে।
এর আগে মন্ত্রী রাজশাহী থেকে বিশেষ ট্রেনযোগে রহনপুর রেলস্টেশন এসে পৌঁছালে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান মন্ত্রীকে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুহা. জিয়াউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ, গোমস্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, রহনপুর পৌর মেয়র মতিউর রহমান খান প্রমুখ।
Array