
দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে সহকারী স্কুল শিক্ষকদের পদোন্নতি। নতুন নিয়োগ বিধিমালা অনুসারে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০ শতাংশ সহকারী শিক্ষককে পদোন্নতি দেয়া হবে বলে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে জানায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘মুজিববর্ষে পদোন্নতি বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা কোনোভাবেই কালক্ষেপণ করতে চাই না। এরই মধ্যে আমাদের বিশেষজ্ঞ কমিটি যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে। সারাদেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নন-ক্যাডার শিক্ষক পদে কর্মরত আছেন ১০ হাজার ৫০০ জন।
এর আগে, গত ৩০ নভেম্বর সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতির খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১ ডিসেম্বর অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় ৬ হাজার ১৫৫ জন সহকারী শিক্ষককে সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেওয়ার কথা জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই পদোন্নতির ফলে শিক্ষকদের কোনো আর্থিক সুবিধা না বাড়লেও সামাজিকভাবে তাদের মর্যাদা বাড়বে। শিক্ষাক্ষেত্রে এর একটি ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাবে। এছাড়া, পদোন্নতির এ জট খুলে গেলে মাধ্যমিকের ওপরের বিভিন্নভাবে পদায়নও সম্ভব হবে।
তবে, বিভিন্ন বিধি বিধানের কারণে এখনো অনেক শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে যেতে পারে। এছাড়া, বিএড না থাকার শর্ত লঙ্ঘন, সমন্বিত মেধা তালিকা না থাকার কারণে কিভাবে পদোন্নতি দেওয়া হবে, তা নিয়েও অনেক শিক্ষক প্রশ্ন তুলেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মো.বেলাল হোসেন বলেন, ‘ত্রুটি দেখতেই খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষকরা চাইলে অনলাইনে ও সরসারি লিখিতভাবে তাদের অভিমত জানাতে পারবেন। বিধি অনুযায়ী যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই খসড়া তালিকা সংশোধন করা হবে।’এরপর চূড়ান্ত আকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলেও তিনি জানান।
Array