ঢাকা, ২৮ নভেম্বর ২০২০ : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ৯০-এর আন্দোলন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ছিলনা, বরং সেই আন্দোলন হয়েছে স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। তিনি বলেন, কায়েমী স্বার্থবাদীরাই তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ওই আন্দোলনে ইন্ধন জুগিয়েছে। আর সে কারণেই উপজেলার মাধ্যমে প্রশাসনিক সংস্কার, ঔষুধ নীতি, ভূমি সংস্কার এবং বিভাগীয় শহরে হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রতিষ্ঠার মতো যুগান্তকারী পদক্ষেপগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এ দেশের জনগণ।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি.এম. কাদের আজ শনিবার তাঁর বনানীস্থ কার্যালয়ের মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগীয় জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দলের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন। জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব এ্ডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, জহিরুল ইসলাম জহির, জাতীয় পার্টির মাননীয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সরদার শাহজাহান, শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ওমর, আমিনুল ইসলাম ঝন্টু, এ্যাড. তোফাজ্জল হোসেন, সাইফুল ইসলাম স্বপন। উপস্থিত ছিলেন- দফতর সম্পাদক-২ এম.এ. রাজ্জাক খান, যুগ্ম দফতর মাহমুদ আলম।
জি.এম. কাদের বলেন, ৯০ সালে যেটুকু আন্দোলন হয়েছে, সেটাকে রাষ্ট্রপতি এরশাদকে ক্ষমতা থেকে সরানোর আন্দোলন বলা যেতে পারে, কিন্তু সেটা কোনোভাবেই স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন হতে পারে না। কারণ, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সরকার স্বৈরাচারী সরকার ছিলনা। তখনকার সরকার ছিলো আদালত কর্তৃক স্বীকৃত গণতান্ত্রিক সরকার। সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রপ্রধান পল্লীবন্ধু এরশাদ স্বেচ্ছায় ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। তাও সাংবিধানিক পন্থায়।
তিনি বলেন, যারা একদা জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে তাদের সাথে আমাদের শত্রুতা নেই। আওয়ামী লীগের সাথে আমরা জোটগতভাবে নির্বাচন করেছি। কিন্তু আমরা আমাদের স্বকীয়তা বিসর্জন দেইনি। এখন আমরা বিরোধী দল। আমরা নির্বাচনমুখী একটি দল। গণতান্ত্রিক প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে যেকোনো নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করবো।
মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, দেশে এখন রাজনৈতিক শূন্যতা এবং অস্থিরতা বিরাজ করছে। জাতীয় পার্টি সেই শূন্যতা ঘুচিয়ে দেশে স্থিতিশলীতা রক্ষার জন্য সাংগঠনিক প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী দিনে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে জাতীয় পার্টি ছাড়া আর কোনো বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি নেই।
রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক মতবিনিময় সভায় সিদ্ধান্ত হয় আগামী ১২ ডিসেম্বর শনিবার রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক জেলার প্রতিনিধি সভা বগুড়া জেলায় অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১১ ঘটিকায়।