বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণের সব অধিকার কেড়ে নেয়া রাজনৈতিক দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ। এটি এখন মাফিয়াদের দলে পরিণত হয়েছে। গুম-খুন-অপহরণই হচ্ছে এদের বাণিজ্য। আজ (রোববার) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এ দলটি এমনই পাপহরা দল, যেখানে নিজেদের লোকেরা পাপ করার পরেও তা মোচন হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ কখনই গণতন্ত্রের অনুশীলনের কোনো ঐতিহ্য সৃষ্টি করতে দেয়নি। তারা একদলীয় মানসিকতা থেকে কখনও বের হতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, মানুষের চোখের পানিতে বাংলাদেশের মাটি আজ কর্দমাক্ত। আর সেই কাদামাটিতে শেখ হাসিনার উন্নয়নের রথ আটকে গেছে। আওয়ামী উন্নয়নের জিকিরে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যায়নি। কারণ আওয়ামী উন্নয়নের আড়ালে যে রক্তোৎসব চলছে, তাতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত।
রিজভী বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহিকে ঘৃণা করে। এ কারণেই নুসরাত, শাহীনুর, তনু, মিতুর মতো অসংখ্য নারী-কিশোরী প্রতিনিয়ত বলি হচ্ছে। এ ম্যান্ডেটহীন সরকারের কারণেই অসংখ্য মানুষের কান্না ও দীর্ঘশ্বাসে বাংলাদেশের বাতাস ভারী হয়ে আছে।
জেলগেট থেকে গ্রেফতার আওয়ামী লীগের এক মহাআবিষ্কার উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নতুন নতুন মামলা দিয়ে ফের গ্রেফতার করছে সরকার। এটা বর্তমান আওয়ামী নাৎসীবাদী সরকারের বিরোধী দল দমনের আরেকটি পৈশাচিক দৃষ্টান্ত। এটি একটি চরম বেআইনি পন্থা; এ পন্থা অবলম্বন করা হয় শুধুমাত্র বিরোধী দলকে পর্যুদস্ত করার জন্য।
এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আব্দুস সালামকে নাশকতার ছয় মামলায় জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ (রোববার) বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ জামিনের ফলে আব্দুস সালামের মুক্তিতে আর কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহীম খাঁন জুয়েল
উপদেষ্টা : সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা (এমপি),
নির্বাহী সম্পাদক : শাহ্ ইমরান রিপন,
বার্তা সম্পাদক : খোরশেদ আলম শিকদার
যুগ্ম সম্পাদক : মোঃ জামাল হোসাইন,
চিফ রিপোর্টার : মোঃ জীবন।
১৭ নং উত্তর কুতুবখালী, খাঁন সুপার মার্কেট তৃতীয় তলা,
দুনিয়া, যাত্রাবাড়ি, ঢাকা
মোবাইল : ০১৯৮৬-৬৮৭৪৬৪, ০১৭১১-০৫২৭০৩
ফোন : +৮৮-০২-৭৫৫১১৫০
E-mail: banglavoicebd8@gmail.com
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত