নিজস্ব প্রতিনিধি: গার্মেন্টস মালিকগন সরকার কে অনুরোধ করে থাকে-গার্মেন্টস খুলে দেওয়ার জন্য, দোকান মালিকরা সরকার কে অনুরোধ করে থাকে- দোকান খুলে দেওয়ার জন্য, পরিবহন মালিকদের সংগঠন সরকার কে অনুরোধ করে থাকে-পরিবহন চালু করার জন্য, আলেমদের প্রতিনিধিগন সরকার কে অনুরোধ করে থাকে- কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার জন্য, ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিআই সহ সকল সংগঠনের অনুরোধে সরকার গত ১৭ মাসে ক্ষনে ক্ষনে গার্মেন্টস, পরিবহন, লঞ্চ, ট্রেন, দোকানপাট, কওমি মাদ্রাসা খুললেও এই পর্যন্ত কোন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা সরকার কে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেনি কিংবা বুঝাতে সক্ষম হন নি। অথচ- দেশে শিক্ষক সমিতির অভাব নেই। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতি রয়েছে। লালদল, নীল দল, আকাশী, গোলাপি কতই না বাহারি নামে শিক্ষকদের সমিতি রয়েছে। রয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি, রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। কেউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে সরকার কে অনুরোধ কিংবা দাবি তুলে নি। তাহারা নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় রাজপথে নামতে ভুল করেন না।বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয়গনেরাও এ বিষয়ে কথা বলছেন না। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক কিংবা ভিসি'রাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করতে দেখছি না। তাদের সকলের ভাবটা এমন যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সাথে সাথে সকল করোনা ভাইরাস একযোগে স্কুল, কলেজে ডুকে পরবে। এছাড়া না পড়িয়ে, ঘরে বসে সরকারি বেতন পাচ্ছি, বেতনও আগের থেকে দিগুণ হয়েছে, তাছাড়া আমিতো পড়ি না-পড়াই, শিখি না-শেখাই। সুতরাং খুলুক না আস্তে ধীরে, এমনিতেই আমার কতো কাজ।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে, সারা দেশে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীরা করোনাকে কেন্দ্র করে কেউ কি ঘরে বসে আছে।আপনি আমার সাথে নিশ্চয়ই একমত যে, কেউ ঘরে বসে নেই।হাতিরঝিলে ঠাসাঠাসি, টিএসসিতে গড়াগড়ি, পাড়া-মহল্লার চা দোকানে আড্ডাবাজি প্রতিনিয়ত, প্রতিদিনের ঘটনা। কিন্তু আমাদের ভাবটা এমন যে, তুমি সারাদেশ ঘুরতে পারবা-মামার বাড়ি, খালার বাড়ি, ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি নেতার বাসা, অফিস কিংবা ফ্যাক্ট্ররী যেখানে খুশি যাও শুধু স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া যাবে না।
সরকার ইতিমধ্যে সফলতার সহিত সারা দেশে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ কে টীকার আওতায় এনেছে। সাধারণ মানুষকেও টীকা দেওয়া শুরু হয়েছে। অথচ আপনারা শিক্ষক নেতৃবৃন্দ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয়গন সরকারের নিকট দাবি করতে পারতেন, অন্তত সকল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীদের আইডি কার্ড সাপেক্ষে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টীকা দিয়ে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় গুলো খুলে দেওয়ার জন্য। আর করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে কিংবা স্বাভাবিক হলে যেন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে খুলে দেওয়া হয়। যাইহোক, আপনারা এখন পর্যন্ত সেই দাবি কিংবা আলোচনা, সরকারের সাথে করতে পারেন নি। অথবা সরকারকে সঠিক পরামর্শ দিতে ইচ্ছে করেই কৃপণতা করেছেন। আমার মনে হচ্ছে , অনেকটা সময় এমনিতেই চলে গিয়েছে, এখন সময় এসেছে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলো খুলে দেওয়ার,এবং সঠিক স্বীদ্ধান্ত নেওয়ার।
আমি সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট অনুরোধ করবো যেহেতু টীকা আসছে, আসবে শিক্ষার্থীদের টীকা দিয়ে কিভাবে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যায় তার একটি সঠিক পরিকল্পনা এক্ষনি, এই মূহুর্তে করা উচিৎ, না হলে জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে তছনছ হয়ে যাবে।
ধন্যবাদান্তে
মিজানুর রহমান মিরু
শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক
জাতীয় পার্টি।
প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহীম খাঁন জুয়েল
উপদেষ্টা : সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা (এমপি),
নির্বাহী সম্পাদক : শাহ্ ইমরান রিপন,
বার্তা সম্পাদক : খোরশেদ আলম শিকদার
যুগ্ম সম্পাদক : মোঃ জামাল হোসাইন,
চিফ রিপোর্টার : মোঃ জীবন।
১৭ নং উত্তর কুতুবখালী, খাঁন সুপার মার্কেট তৃতীয় তলা,
দুনিয়া, যাত্রাবাড়ি, ঢাকা
মোবাইল : ০১৯৮৬-৬৮৭৪৬৪, ০১৭১১-০৫২৭০৩
ফোন : +৮৮-০২-৭৫৫১১৫০
E-mail: banglavoicebd8@gmail.com
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত