তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দুজন খুনি এখন কোথায় আছে তা আমরা চিহ্নিত করতে পারি নাই। বাকী দুজন খুনির অবস্থান চিহ্নিত করা গেছে। কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে শিগগিরই রায় কার্যকর করা হবে।
তিনি বলেন, ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে ৭০-এর নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অগ্রণী ভূমিকায় স্বাধীনতা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। বিশেষ করে ৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঙালি জাতি এক হয়ে যায়। ৭০ সালে নির্বাচনে জয়লাভের পরও যখন পাকিস্তানিরা ক্ষমতা দিলো না তখনও ফুসে ওঠে পুরো জাতি। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণেই সব কিছু পরিস্কার করে দিয়েছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে কি করতে হবে তারও দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, শিশু সন্তান রাসেলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বংশ নির্বংশ করতে চেয়েছিলো খুনিরা। কিন্তু পারে নাই। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্বে রোল মডেল।
তিনি বলেন, খুনিরা মনে করেছিলো বঙ্গবন্ধুকে শেষ করলেই দেশ পাকিস্তানের দাসত্বে পরিণত হবে। কিন্তু শেখ হাসিনা দেশে ফেরার কারণে সব বুমেরাং হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, কিছু চাটার দল এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছেন উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য। কিন্তু তা পারবে না। প্রয়াত পল্লীবন্ধু এরশাদ নিঃশর্তভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সমর্থন করে গেছেন, আমরাও আমৃত্যু শেখ হাসিনার পাশে আছি।
স্মরণ সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম বলেন, যে মানুষ সারাজীবন জনমানুষের জন্য কাজ করে গেছেন, পরাধীন জাতি থেকে মুক্তি এনে দিলেন তাকেই হত্যা করা হলো। ২১ টি বছর পার হলেও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়নি। বরং খুনিরা বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত হয়েছে। এর চেয়ে লজ্জা আর কি হতে পারে। এরা জনগণের ভোটে নয় পাকিস্তানের আর্শীবাদে ক্ষমতায় আসে।
ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে এবং জাপার যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে'র সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, ডিসি ইফতেখার আহমেদ, জাপার ভাইস চেয়ারম্যান সালমা হোসেম, এডিসি রোমানা কাজী নাসরিন, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদক আজহার হোসেন, শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, কদমতলী থানার সভাপতি নাসিম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, হাজী নুর হোসেন, ৫১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী হাবিবুর রহমান হাবু, ৫২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন, ৫৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী মো. মাসুদ, ৫৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম লাইজু, ৫৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক, মহিলা কাউন্সিলর নাজমা খোকন, শাহিদা বেগম, সাথী আকতার, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা কাজী ইব্রাহিম খলিল মারুফ, তাইজুল ইসলাম তাজু, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, আব্দুল গাফফার দেওয়ান গাজী, ব্যারিস্টার সামিউর রহমান অভি, জাপা কেন্দ্রীয় নেতা সুজন দে, শেখ মাসুক রহমান, ইব্রাহিম মোল্লা, কাউসার আহমেদ প্রমুখ।
প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহীম খাঁন জুয়েল
উপদেষ্টা : সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা (এমপি),
নির্বাহী সম্পাদক : শাহ্ ইমরান রিপন,
বার্তা সম্পাদক : খোরশেদ আলম শিকদার
যুগ্ম সম্পাদক : মোঃ জামাল হোসাইন,
চিফ রিপোর্টার : মোঃ জীবন।
১৭ নং উত্তর কুতুবখালী, খাঁন সুপার মার্কেট তৃতীয় তলা,
দুনিয়া, যাত্রাবাড়ি, ঢাকা
মোবাইল : ০১৯৮৬-৬৮৭৪৬৪, ০১৭১১-০৫২৭০৩
ফোন : +৮৮-০২-৭৫৫১১৫০
E-mail: banglavoicebd8@gmail.com
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত