ভারতের উত্তরাখন্ডে চামোলি জেলায় হিমবাহ ধসের ঘটনায় আরও বেশ কিছু মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম লিখেছে, স্থানীয় সময় সকাল ১০টা পর্যন্ত ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর নিখোঁজ ১৭০ জন। ফলে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হিমালয় ঘেঁষা চামোলি জেলার নন্দাদেবী হিমবাহে রোববার সকালে ধসে প্লাবিত হয় অলকানন্দ ও ধৌলিগঙ্গা নদী তীরবর্তী এলাকা। ভেসে গেছে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র এবং পাঁচটি সেতু। আশপাশের রাস্তাঘাট পানিতে সয়লাভ। ফলে গ্রামগুলো থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
উদ্ধার কাজে মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় ও প্রাদেশিক উদ্ধারকারী দল। তিনটি হেলিকপ্টারে করে এতে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনীর ছয়শ সদস্য। এ ছাড়া রয়েছে নৌবাহিনীর সাতটি দল।
এনডিটিভি জানিয়েছে, হিমবাহ ধসে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ১৭০ জনের মধ্যে ১৪৮ জেই পার্শ্ববর্তী ঋষিগঙ্গার একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ১৪৮ কর্মী, ২২ জন স্থানীয় বাসিন্দা।
এ ছাড়া প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে একটি টানেলে আটকা পড়ে রয়েছে আরও প্রায় ৩০ জন। তাদের উদ্ধারে রাতভর কাজ করেছে উদ্ধারকারীরা। কিন্তু পাহাড়ি বিস্তীর্ণ এলাকায় অতি ঠান্ডার মধ্যে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
অন্য একটি নির্মাণাধীন টানেলে আটকা পড়া ২২ জনকে এরই মধ্যে উদ্ধার করেছে ইন্দো-তিব্বতিয়ান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি) এর একটি দল।
নিখোঁজদের খবর পেতে উন্মুখ হয়ে আছে স্বজনরা। নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে চার লাখ রুপি করে সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়া।
এই ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে রোববারই টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেছেন, ‘গোটা দেশ উত্তরাখণ্ডের পাশে আছে। পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’
প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহীম খাঁন জুয়েল
উপদেষ্টা : সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা (এমপি),
নির্বাহী সম্পাদক : শাহ্ ইমরান রিপন,
বার্তা সম্পাদক : খোরশেদ আলম শিকদার
যুগ্ম সম্পাদক : মোঃ জামাল হোসাইন,
চিফ রিপোর্টার : মোঃ জীবন।
১৭ নং উত্তর কুতুবখালী, খাঁন সুপার মার্কেট তৃতীয় তলা,
দুনিয়া, যাত্রাবাড়ি, ঢাকা
মোবাইল : ০১৯৮৬-৬৮৭৪৬৪, ০১৭১১-০৫২৭০৩
ফোন : +৮৮-০২-৭৫৫১১৫০
E-mail: banglavoicebd8@gmail.com
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত