মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। কারাগারে অন্তরীণ রয়েছেন সু কি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষ নেতারা। বার বার গণতন্ত্রকে হরণ করে মিয়ানমার সেরাবাহিনী ক্ষমতার কেন্দ্রীভূত করে রাখছে। দীর্ঘ সময়ে মিয়ানমারে কখনোই দীর্ঘস্থায়ি হয়নি গণতন্ত্র। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে সু কির রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে।
অং সান সু কি এবারই যে কারাগারে রয়েছেন এটাই প্রথম নয়। এর আগেও তিনি দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। জনগণের আন্দোলনের ফলে মুক্তি পেয়ে ছিলেন তিনি এবং গণতন্ত্রের মাসন কন্যাও উপাধি দেওয়া হয়েছিলো তাকে। কিন্তু তার সময়ে মিয়ামানমারে নিরীহ রোহিঙ্গাদের উপর যে বর্বর গণহত্যা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে তাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন সু কি। প্রশ্ন উঠেছে দেশটির গণতন্ত্র ও সু কির গণতন্ত্র মনা নিয়ে।
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের এক সপ্তাহ পেড়িয়ে গেল। সু কি কে নেয়া হয়েছে দুই সপ্তাহের রিমান্ডে। প্রশ্ন উঠছে সু কির রাজনীতির মোড় নিয়ে। আবারও কি তাহলে ৭৫ বয়সী এই নেত্রী দীর্ঘ কারাবাসে যাচ্ছেন? ১৯৮৮ সালে সামরিক শাসনবিরোধী উত্তাল আন্দোলনের সময় দেশের ভেতরে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অং সান সু চির উত্থান ঘটেছিলো।
রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের বিষয়ে সু কি যে পরিস্থিতিতেই থাকুন না কেন, নির্যাতিত মুসলিম সংখ্যালঘুদের প্রতি সামান্য পরিমাণে হলেও তিনি সহানুভূতি দেখাতে পারতেন বলে সমালোচনাও করা হয়। তবে তার সমর্থকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, সু কি খুব কঠিন এক অবস্থায় ছিলেন এবং তিনি যদি কঠোর ব্যবস্থা নিতেন তাহলে তাকে আরও আগেই জেলে যেতে হতো।
এদিকে সব বিবেচনাতেই অং সান সু চি এবং মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন বলেই মনে হয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অং সান সু কির বলয় আর আগের মতো নেই। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা। কিন্তু মিয়ানমারের লাখ লাখ মানুষ এখনও তাকে ভালোবাসে। আর এ থেকেই নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে তার দল এনএলডি ৮০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়।
সু কির পারিবারিক রাজনৈতিক বিষয়ের দিকে তাকালে দেখা যায়, সু কির বাবা জেনারেল অং সান এখনও মিয়ানমারে একজন শ্রদ্ধেয় নেতা হিসেব বিবেচিত। আধুনিক বর্মী সেনাবাহিনীরও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। এই বাহিনী টাটমাডো নামে পরিচিত ছিল। বার্মাকে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত করার পথে পরিচালিত করার আগে ১৯৪৭ সালে তাকে হত্যা করা হয়। সেই একই বাহিনী এখন তার কন্যাকে স্বাধীনতা এবং তার দেশকে তাদের নেতা থেকে আবারও বঞ্চিত করেছে।
সু কি আসলে অনুধাবন করতে পারবেন যে সামরিক বাহিনী, যাদেরকে তিনি আন্তর্জাতিকভাবে রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন, তারাই তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। মিয়ামানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় দেশটির সেনা বাহিনীর সমর্থন করেছিলেন সু কি। আর তারাই এবার সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে বন্দী করলো সু কি কে। তাহলে কি তার বাবার মতো তারও কি পুনরাবৃত্তীর শঙ্কা রয়েছে?
প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহীম খাঁন জুয়েল
উপদেষ্টা : সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা (এমপি),
নির্বাহী সম্পাদক : শাহ্ ইমরান রিপন,
বার্তা সম্পাদক : খোরশেদ আলম শিকদার
যুগ্ম সম্পাদক : মোঃ জামাল হোসাইন,
চিফ রিপোর্টার : মোঃ জীবন।
১৭ নং উত্তর কুতুবখালী, খাঁন সুপার মার্কেট তৃতীয় তলা,
দুনিয়া, যাত্রাবাড়ি, ঢাকা
মোবাইল : ০১৯৮৬-৬৮৭৪৬৪, ০১৭১১-০৫২৭০৩
ফোন : +৮৮-০২-৭৫৫১১৫০
E-mail: banglavoicebd8@gmail.com
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত