• ঢাকা, বাংলাদেশ
 admin 
02nd Jan 2019 2:29 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

– এমপিদের শপথ কাল

– মন্ত্রিরা নেবেন রোববার

– ১০ জানুয়ারির আগেই

সরকার গঠন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫৯টি আসনসহ মহাজোটগতভাবে ২৮৮ আসনে বিজয়ী হয়ে টানা তৃতীয় বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের এ নিরঙ্কুশ জয়ে ৫৪ ও ৭০ এর নির্বাচনের প্রতিফলন দেখছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। এরই মধ্যে প্রতিবেশী দুই পরাশক্তি ভারত, চীনসহ শ্রীলঙ্কা, সৌদি আরব এবং বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সব অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা দূর করে সব দলের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করার পর এবার দ্রুত সরকার গঠনের কথা ভাবছে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড। কালক্ষেপণ না করে দ্রুত সরকার গঠন করে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস জাঁকজমকভাবে করার মধ্য দিয়ে বিজয় উৎসব করতে চান আওয়ামী লীগের শীর্ষ মহল। এজন্য বৃহস্পতিবার এমপিদের শপথ অনুষ্ঠান শেষ করার পর ৬ জানুয়ারি (রোববার) মন্ত্রিদের শপথের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিতকা সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

এরই মধ্যে সরকারের দুই মন্ত্রী সরকার গঠন ও শপথ নিয়ে কথা বলেছেন। কাল বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত এমপিদের শপথ অনুষ্ঠান ও ১০ জানুয়ারির মধ্যে সরকার গঠনের কথা জানিয়েছেন তারা। এদিকে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একটি সূত্রে জানা গেছে, রোববার মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তৃতীয় বারের মতো সরকার গঠন করবে মহাজোট। সূত্রটি আরও জানায়, এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে মন্ত্রিসভা গঠন হবে। তাতে কিছুটা চমক থাকবে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার মতোই। মূলত বয়স্ক ও বিতর্কিতদের বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে এবার। তবে, যেসব মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের অধীনে বৃহৎ বা মেগা প্রজেক্ট চলমান রয়েছে তাদের পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম বলেও দাবি করেন সূত্রটি। অপর একটি সূত্র দাবি করেছেন, ২০১৪ সালের মন্ত্রিসভায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা বাদ পড়তে পারেন নতুন মন্ত্রিসভা থেকে। এবারের মন্ত্রিসভায় তারুণ্যের প্রাধান্য থাকবে। দলের ক্লিন ইমেজের নেতাদের দিয়ে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে হতে পারে নতুন মন্ত্রিসভা। এবারের মন্ত্রিসভাতেও টেকনোকেট কোটায় মন্ত্রী করা হবে বলেও দাবি করে সূত্রটি।

২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পরিবর্তে কাকে অর্থমন্ত্রী করা হবে, তা নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের নতুন মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন, সেই আলোচনায় মুহিতের নামও আসছে। সংসদে না থাকলেও মুহিতকে আরও কিছুদিন অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে দেখা যেতে পারে বলে গুঞ্জন চলছে দুই দিন ধরে।

এ প্রসঙ্গে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সেটা ঠিক। আমাদের সরকার পর পর দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কারণে যে ধারাবাহিকতার সৃষ্টি হয়েছিল; সেজন্যই এ উন্নয়ন হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে অবিশ্বাস্য উন্নয়ন হবে বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, সেই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে অনুরোধ করেন অর্থমন্ত্রী থাকতে, তাহলে তো আমি না করতে পারব না। সেক্ষেত্রে আরও কিছুদিন আমি দায়িত্ব পালন করে যাব।

এদিকে এমপিদের শপথ ও নতুন মন্ত্রিসভা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত এমপিরা শপথ নেবেন। আর ৫ কিংবা ৬ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা শপথ নেবেন বলে শুনেছি। জনগণ উন্নয়নের পক্ষে শান্তির পক্ষে নিজেদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন। এর মধ্যে থেকেই মন্ত্রিসভার সদস্য নির্বাচিত করবেন আমাদের নেত্রী। বরাবরের মতো এবারের মন্ত্রী সভাতেও নতুন মুখ থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন পুরানোর সমন্বয় ঘটিয়ে একটি ভালো মন্ত্রিসভা গঠন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আনা হবেÑ এটা নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে পরিবর্তনের ব্যাপ্তি কেমন হবেÑ সেটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। ২০০৮ সালের নির্বাচনের বিপুল বিজয়ের পর সরকার গঠনে শেখ হাসিনা সবাইকে চমকে দেন। ওই সময় আওয়ামী লীগের হেভি ওয়েট নেতাদের বাদ দিয়ে নতুনদের প্রধান্য দিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করে চমক সৃষ্টি করেন শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের বেগম মতিয়া চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছাড়া কেউই ২০০৮ সালের মন্ত্রিসভায় সুযোগ পাননি। আবার ২০১৩ সালে এসে নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদের মতো আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে আনেন। আর শরিকদের মধ্য থেকে আনেন রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনুর মতো বড় নেতাদের। আবার ২০১৪ সালের মন্ত্রিসভায় তিনি ২০০৮ সালের অধিকাংশ মন্ত্রীদের বাদ দেন। কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. দীপু মনি, হাসান মাহমুদ, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, জাহাঙ্গীর কবির নানক বাদ পড়েন মন্ত্রিসভা থেকে। গেল মেয়াদে এদের বারবার মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে আনার গুঞ্জন শোনা গেলেও পাঁচ বছরে মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল হয়নি খুব একটা।
এদিকে ১০ জানুয়ারির মধ্যেই সরকার গঠন হতে পারে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আজ-কালের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট হতে পারে। গেজেট হওয়ার পর এমপিদের শপথ হবে। তারপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন। রাষ্ট্রপতি তাকে বিজয়ী দলের প্রধান হিসেবে সরকার গঠনের আহ্বান জানাবেন। আমার মনে হয়, এমপিদের শপথ, মন্ত্রীদের শপথ এবং সরকার গঠনসহ সব আনুষ্ঠানিকতা ১০ জানুয়ারির মধ্যেই সম্পন্ন হবে।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার শপথ নেবেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। বুধবার গেজেট প্রকাশ হবে। তিনি বলেন, মহাজোট বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে। এটি নিশ্চিত যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। মহাজোট মানুষের জোট। শয়তান বা ফেরেস্তার জোট নয়। তাই চলার পথে যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে তবে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১