• ঢাকা, বাংলাদেশ

ভাতা পাবেন পেনশনের অর্থ তুলে নেওয়া অবসরভোগীরাও 

 admin 
14th Aug 2022 1:04 am  |  অনলাইন সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ ডিসেম্বতাঁরাও এখন মাসিক ভাতা পাবেন। তাঁদের ন্যূনতম পেনশন হবে মাসিক ৩ হাজার টাকা। শুধু পেনশন নয়, প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্টও (বার্ষিক বৃদ্ধি) পাবেন তাঁরা। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ১ জুলাই থেকে এ নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ গত অক্টোবরে এ ব্যাপারে যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল, তার গেজেট হয়েছে বুধবার। গেজেট বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।

গেজেটে বলা হয়েছে, ‘শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী প্রজাতন্ত্রের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

গেজেট অনুযায়ী, অবসরে যাওয়ার তারিখ থেকে ১৫ বছর সময় পার হয়েছে। এমন শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের দেওয়া হবে মাসিক পেনশন। তবে কর্মচারীর এলপিআর/পিআরএল যে তারিখে শেষ হয়েছে, তার পরদিন থেকে ওই ১৫ বছর গণনা হবে। আর যিনি অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটি (এলপিআর) বা অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) ভোগ করেননি, তাঁর ক্ষেত্রে অবসরে যাওয়ার তারিখ থেকে ওই ১৫ বছর গণনাযোগ্য হবে।

যে নিয়ম ও পদ্ধতিতে মাসিক পেনশন দেওয়া হবে, তা একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেমন: একজন কর্মচারী চূড়ান্তভাবে অবসরে গেছেন ২০০২ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন। তাঁর অবসরের পর থেকে ১৫ বছর পার হয় ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ১ জুলাই। ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের বেতনকাঠামো অনুযায়ী, প্রথম গ্রেডের কর্মচারীর বেতন ১৫ হাজার টাকা নির্ধারিত হওয়ায় তাঁর মাসিক পেনশন হবে ৬ হাজার টাকা। ২০০৫ খ্রিস্টাব্দের বেতনকাঠামো অনুযায়ী এই পেনশন ৭ হাজার ৫০০ টাকা, ২০০৯ অনুযায়ী ১১ হাজার ২৫০ টাকা এবং ২০১৫ অনুযায়ী ১৬ হাজার ৮৭৫ টাকা হবে।

বার্ষিক বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্টের বিষয়টিও উদাহরণ দিয়ে বোঝানো হয়। বলা হয় ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ১ জুলাই তারিখ মাসিক নিট পেনশনের পরিমান যদি ১৬ হাজার ৮৭৫ টাকা হয়, তাহলে প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে যে ইনক্রিমেন্ট হবে, সে অনুযায়ী ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের ১ জুলাই নিট পেনশন পাবেন ১৭ হাজার ৭১৮ টাকা ৭৫ পয়সা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য গত ২৪ সেপ্টেম্বর অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার ‘শতভাগ পেনশন সমর্পনকারী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশন পুনঃস্থাপন’ শীর্ষক একটি সারসংক্ষেপে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও মন্ত্রব্য করেন, ‘শতভাগ পেনশন

সমর্পনকারী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা কোনো দাবি করতে অপাগর। তবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে তাঁদের অতিরিক্ত পেনশন দেওয়া যেতে পারে।

সারসংক্ষেপ অনুযায়ী, ১৯৯৪ থেকে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ১ লাখ ৭ হাজার ৬৬২ জন সরকারি কর্মচারী পেনশনের পুরো টাকা তুলে নিয়ে গেছেন। তবে অবসর নেওয়ার ১৫ বছর পার হয়েছে এমন সরকারি কর্মচারীর সংখ্যা ১৯ হাজার ৫৩৮ জন। তাঁদের জন্য নতুন সুবিধাটি কার্যকর করতে গেলে ১৩৯ কোটি টাকা ব্যয় হবে। তবে ইনক্রিমেন্টসহ চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তাঁদের জন্য আরও ৭ কোটি, অর্থাৎ ১৪৬ কোটি লাগবে।

শতভাগ সমর্পণকারী পেনশনার্স ফোরাম, বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতি এবং অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ অ্যাসোসিয়েশন নামে তিনটি সংগঠন দুই বছর আগেই দাবির পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থিত সারসংক্ষেপে সংগঠনগুলোর দাবির যুক্তিগুলোও তুলে ধরে অর্থ বিভাগ। যুক্তিগুলো হচ্ছে কেউ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, কেউ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন, অনেকে ব্যবসা করতে গিয়ে লোকসান দিয়েছেন, কেউ কেউ আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছেন, অনেকে নিজের সন্তানদের কাছ থেকে আশ্রয় হারিয়েছেন। কারও কারও থাকার জায়গা এখন বৃদ্ধাশ্রম।

পেনশনের পুরো টাকা একবারে তুলে নিয়ে যাওয়ার পদ্ধতিটি ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয়। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ১ জুলাই থেকে বাধ্যতামূলক নিয়ম করা হয় যে মোট পেনশনের ৫০ শতাংশ তুলে নেওয়া যাবে, বাকি ৫০ শতাংশ জমা রাখতে হবে।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১