বাংলাদেশের প্রধান বিরোধীদল বিএনপির নেতারা দল ও জোটের কয়েক দফা বৈঠকের পর জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের ২৩ তারিখ অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা-না-করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং তা রবিবার জানানো হবে।

শনিবার রাতে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ের বাইরে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার ব্যাপারে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়েছে, তার পর ২০ দলের বৈঠক হয়েছে এবং শেষে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক হয়েছে।”

“দীর্ঘ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়েছে যে রবিবার দুপুর একটায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঐক্য ফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন সংবাদ সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে আমাদের সিদ্ধান্তের কথা জাতিকে জানাবেন” – বলেন তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটি শনিবার একটি বৈঠক করার পর ২০ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের নিয়ে পৃথকভাবে বৈঠক করে।

এর পর জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা নুর হোসাইন কাশেমী বিবিসি বাংলাকে বলেন, তারা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন – যা অচিরেই জানানো হবে।

তিনি আভাস দেন যে বৈঠকে জোটের শরিক দলগুলোর বেশির ভাগ নেতাই নির্বাচনে অংশ গ্রহণের পক্ষে মত দিয়েছেন।

আরো কয়েকজন নেতা বাংলা ভয়েজের সংবাদদাতার কাছে একই রকম আভাস দিয়েছেন।

বিএনপির গুলশান কার্যালয়ের বিকেল থেকেই ছিল উৎসুক কর্মী-সমর্থক এবং সংবাদকর্মীদের ভিড়।

দলটির স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক এবং তার পর জামায়াতে ইসলামীসহ ২০-দলীয় জোটের বৈঠকের পর বেশ কয়েকজন নেতার সাথে আমার কথা হয়।

এই নেতারা পরিষ্কারভাবেই বলেছেন তারা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বিএনপির সিনিয়র নেতা মওদুদ আহমেদ এবং ২০ দলীয় ঐক্যজোটের এলডিপির নেতা অলি আহমেদ – এই দু’জনই জানিয়েছেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে কিন্তু সিদ্ধান্তটা কি তা তারা কেউই বলতে চাননি।