বিগত পাঁচ বছরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় অভিযুক্তদের মালিকানাধীন ৮.৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, টাকার হিসাবে যার পরিমাণ ৭১৫ কোটি। আর এই সময়ে জরিমানা হয়েছে ২৫.৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, টাকার হিসাবে যার পরিমাণ দুই হাজার ২৭ কোটি।
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ‘জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশনের একটি সেশনে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এই তথ্য জানান।
সংস্থাটির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার দেয়া বক্তব্যে চেয়ারম্যান এই তথ্য জানান। চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সংস্থাটির তিন সদস্য কনভেনশনে অংশ নেন।
দুদক চেয়ারম্যান এসময় মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স ইন ক্রিমিনাল ম্যাটার অ্যাক্ট-২০১২ সহ বিভিন্ন আইন, বিধি-বিধান ও বিচারিক প্রক্রিয়ার সংস্কারের কথাও উল্লেখ করেন।
ইকবাল মাহমুদ জানান, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দুদক ১৮৯টি মামলা দায়ের করে। একই সময়ে ২২৩টি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
প্রাতিষ্ঠানিক টিমের কার্যক্রম ব্যাখ্যা করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদক এসব সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধ ও দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে সরকারি পরিষেবা নিশ্চিতকল্পে এসব প্রতিষ্ঠানকে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় পরামর্শ দিয়েছে। ইতিমধ্যেই কমিশন ভূমি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সড়ক ও জনপথ মন্ত্রণালয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, আয়কর বিভাগ ও কাস্টমস বিভাগে তাদের বিজনেস প্রসেস রি-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অংশ হিসেবে দুর্নীতির সম্ভাব্য উৎস চিহ্নিত করে, তা বন্ধে সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা পাঠিয়েছে।
দুদক চেয়ারম্যান জানান, ২০১১ সালে দুদকের মামলায় বিচারিক আদালতে সাজার হার ছিল ২০ শতাংশ। ২০১৭ সালে তা ৬৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আর মানিলন্ডারিং মামলার ক্ষেত্রে সাজার হার শতভাগ। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ২৩টি মানিলন্ডারিং মামলার প্রতিটিতেই আসামিদের সাজা হয়েছে।
Array