
ঢাকা, ২৬ ডিসেম্বর- মোস্তফা মহসিন মন্টুর সঙ্গে শওকত নামে এক ব্যাক্তি ফোনালাপ সোশাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়েছে, তাতে বলতে শোনা যাচ্ছে নির্বাচনের আগের দিন হলেও আপনাকে হত্যা করা হতে পারে। এ বিষয়ে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এরকম একটা বিষয় আমিও শুনেছি। তবে এতে আমি আতঙ্কিত নই। বয়স অনেক হয়েছে আর কয়দিনই বা বাঁচবো। ওসব পাত্তা দেই না, তবে ওই ফোনালাপ ভিত্তিহীন বলেই মনে হচ্ছে। নির্বাচনের আগে চারপাশে অনেক রকম চক্রান্ত হচ্ছে। ভোটাধিকারের দাবিতে আমি অবিচল থাকতে চাই।
নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে আশঙ্কা থাকলেও ঐক্যফ্রন্ট যেকোনো পরিস্থিতিতেই ভোটের মাঠে থাকবেন জানিয়ে জোটের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমাদের আশঙ্কা আছে। তবে আমাদের শেষ পর্যন্ত নির্বাচন ধরে রাখতে হবে, যাতে তারা বলতে না পারে যে আমরা নির্বাচন থেকে সরে গেছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের আমরা এরই মধ্যে জনমত গঠন করেছি এবং যেকোনো ধরনের নির্বাচনী অনিয়ম জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করব।
বুধবার ( ২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে নিজের চেম্বারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ভোট দেওয়া আমাদের অধিকার। কেন আমরা অধিকার ছেড়ে দেব? জনগণের সহায়তা নিয়ে ভোট জালিয়াতি প্রতিরোধ এবং সঠিক গণনা ও নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিশ্চিত করবো।
নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে পুলিশকে ‘জানোয়ার’ বলা প্রসঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘ওই অর্থে তো বলেনি। তারা মানুষ হিসেবে ভূমিকা রাখবে, আমরা সেটা আশা করি। বলেছি, পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখবে। আমরা তো পুলিশের প্রশংসাও করেছি।’
মতিঝিল জোনের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিজের বৈঠক বিষয়ে ড. কামাল বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলতে পুলিশ কর্মকর্তারা এসেছিলেন, কারণ তারা আমার নিরাপত্তার বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। তারা জানতে চেয়েছেন, যদি আপনার নিরাপত্তা প্রয়োজন হয়, সেটা আমাদের জানালে সেভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবো। আপনি বাড়িতে যাওয়ার সময় নিরাপত্তার প্রয়োজন হলে সেই নিরাপত্তাও আমরা দিতে পারি।
নির্বাচনের বাকি আর মাত্র দুদিন, পরিস্থিতি কেমন হতে পারে জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, এখনো ধরপাকড় চলছে। প্রত্যেক জেলা থেকে প্রার্থীরা বলছেন, তাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। জেলায় জেলায় ফোন করে বলা হচ্ছে, প্রার্থীদের ওপর হামলা ও আটক করা হচ্ছে। এ হামলার ঘটনা অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে গেছে। নির্বাচনের আগে এমন পরিস্থিতি আমার লাইফেও দেখিনি।
২৭ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ ড. কামাল হোসেন বলেন, এখনো আমাদের পারমিশন দেয়া হয়নি। ইলেকশনের আগে ঢাকায় মিটিং করতে দেয়া হবে না এটা নতুন দেখছি। আমার জীবনে এটা শুনতে হবে মানা যায় না। জনগণ লড়াই করেছে। সংঘবদ্ধভাবে লড়াই করছে। জনমত গঠন করা হয়েছে। রুখে দাঁড়ানোর দাবিতে বাধ্য করা হবে।
Array