বিনোদন ডেস্ক: বলিউডের আন্তর্জাতিক তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ২০০০ সালে ‘বিশ্ব সুন্দরী’ নির্বাচিত এই তারকা নিজ দেশের পাশাপাশি হলিউডের ছবিতে অভিনয় করে এই তকমা গায়ে লাগিয়েছেন। অভিনেত্রী হিসেবে তার জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। তবে সমাজ সেবামূলক কাজেও তার খ্যাতি বিশ্বজোড়া।
২০০২ সালে তামিল ‘ঠামিজান’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হওয়ার মাত্র তিন বছর পরেই শিশুদের উন্নতি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে পরিচালিত জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা ইউনিসেফের সঙ্গে যুক্ত হন। সংস্থাটির হয়ে ২০০৫ সাল থেকে ভারতের জাতীয় পর্যায়ে কাজ শুরু করেন।
দশ বছর এই দায়িত্ব সামলানোর পর প্রিয়াঙ্কাকে ইউনিসেফের বৈশ্বিক শুভেচ্ছাদূত নিযুক্ত করা হয়। ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে ইউনিসেফের সদর দপ্তরে সংস্থাটির ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন সাবেক ব্রিটিশ ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যাম।
শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটির সঙ্গে সম্প্রতি প্রিয়াংকার ১২ বছর পূর্ণ হয়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি দীর্ঘ এ সময় ধরে নায়িকা এই দায়িত্বটিও সামলেছেন সফলতার সঙ্গে। এই সময়ের মধ্যে তিনি জিম্বাবুয়ে ও নিজ দেশ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরেছেন। মানুষকে সচেতন করেছেন শিশু অধিকার সম্পর্কে।
চলতি বছরের মে মাসে তিনি এসেছিলেন বাংলাদেশেও। ইউনিসেফ বাংলাদেশের আমন্ত্রণে ওই সময় তিনি টেকনাফের শাপলাপুর এবং উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। খোঁজখবর নেন রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের। এর আগে তিনি সিরিয়ায় যুদ্ধে আক্রান্ত শিশুদের পাশেও দাঁড়ান।
ইউনিসেফের সঙ্গে এক যুগ পূর্তির অনুভূতি জানাতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমি গর্বিত এমন মহান একটি কাজের সঙ্গে থাকতে পেরে। দীর্ঘ ১২ বছর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিশুদের কাছে গিয়েছি, তাদের সুখ-দুঃখের গল্প শুনেছি। এই অনুভূতি ব্যক্ত করার মতো নয়। যতদিন পারি এই দায়িত্ব পালন করে যাব।’
নায়িকা বর্তমানে ব্যস্ত বিয়ে নিয়ে। আগামী ১ ডিসেম্বর মার্কিন গায়ক ও অভিনেতা নিক জোনাসের সঙ্গে গাঁটছড়া বাধতে চলেছেন তিনি। বিয়ের অনুষ্ঠান হবে তিন দিন। ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর। ইতিমধ্যে শতাধিক অতিথিকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন নিক-প্রিয়াঙ্কার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজন।
Array