করোনাভাইরাসের মহামারি ঠেকাতে লকডাউন সবচেয়ে বেশি কার্যকর বলে মত দিয়েছেন ঢাকায় সফররত চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। নিজেদের দেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তারা বলেন, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার এখন পর্যন্ত বড় উপায় হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। এজন্য জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। চীন কঠোরভাবে লকডাউন মেনে চলায় অল্প সময়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে এক সভায় তারা এ মত জানান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্ট্রার (মেডিসিন) ডা. ফরহাদ উদ্দিন চৌধুরী মারুফ এক ফেসবুক বার্তায় এ তথ্য জানান।
চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসদের সঙ্গে সভার আলোচ্য বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, চীনের চিকিৎসকরা জানান কোভিড-১৯ এর কোন ওষুধ নেই। সাপোর্টিভ চিকিৎসাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া তারা হাসপাতালে সংক্রমণ প্রতিরোধের দিকেই গুরুত্ব দিয়েছেন।
প্লাজমা সম্পর্কে চীনের চিকিৎসকরা জানান, তারা করোনা রোগীদের দেহে গণহারে প্লাজমা ব্যবহার করেনি।শুধুমাত্র উহানে সিভিয়ার রোগীদের ক্ষেত্রে কিছু ব্যবহার করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের বিষয়ে চীনের বিশেষজ্ঞরা বৈঠকে জানান, তাদের দেশে ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল তৃতীয় ধাপে রয়েছে।
সভা সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে সঠিক নিয়মে পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) পরা এবং খোলার দিকে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চীনের চিকিৎসকরা। এছাড়া দ্রুত টেস্ট, আইসোলেশন, চিকিৎসা, এবং কন্টাক্ট ট্রেসিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে তারা জানান।
প্লাজমা সম্পর্কে চীনের চিকিৎসকরা জানান, তারা করোনা রোগীদের দেহে গণহারে প্লাজমা ব্যবহার করেনি।শুধুমাত্র উহানে সিভিয়ার রোগীদের ক্ষেত্রে কিছু ব্যবহার করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের বিষয়ে চীনের বিশেষজ্ঞরা বৈঠকে জানান, তাদের দেশে ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল তৃতীয় ধাপে রয়েছে।
সভা সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে সঠিক নিয়মে পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) পরা এবং খোলার দিকে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চীনের চিকিৎসকরা। এছাড়া দ্রুত টেস্ট, আইসোলেশন, চিকিৎসা, এবং কন্টাক্ট ট্রেসিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে তারা জানান।
এর আগে গত ৮ জুন ঢাকায় আসে চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দলটি। তারা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো এবং চিকিৎসার বিষয়ে ধারণা দিতে কাজ করবেন বলে জানা গেছে।১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দলের অধিকাংশই চীনের হাইনান প্রদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে ভাইরাসটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
Array