
২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ কাতারে অবকাঠামো নির্মাণ কাজে জড়িত এক হাজার ১৮ বাংলাদেশি শ্রমিক গত এক দশকে মারা গেছেন। একই সময়ে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার দক্ষিণ এশীয় শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশগুলো হচ্ছে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা। মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, পাকিস্তান বাদে অন্যদেশগুলোর সরকারি হিসাবেই কাতারকে বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ ঘোষণার পর থেকে দশ বছরে ৫ হাজার ৯২৭ জন প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, যা গড়ে সপ্তাহে ১২ জন।
এছাড়া পাকিস্তান সরকারের তথ্যমতে, এই সময়ে তাদের ৮২৪ শ্রমিক মারা গেছেন।
এই পাঁচ দেশের বাইরে ফিলিপাইন, কেনিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিকরা কাতারে গিয়েছেন। সেসব দেশগুলোর মারা যাওয়া শ্রমিকদের হিসাব করলে এ সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। অধিকাংশ শ্রমিকের মৃত্যুর কারণ হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করার সময় দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে অবকাঠামো নির্মাণে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। আর সেখানে যোগ দেন দক্ষিণ এশিয়ার বিপুল সংখ্যক শ্রমিক। বিশ্বকাপের জন্য নতুন সাতটি স্টেডিয়ামসহ কয়েক ডজন বিশাল প্রকল্প হাতে নেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
এ বিষয়ে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার দাবি, বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী নির্মাণ কাজের তুলনায় কাতারে কম দুর্ঘটনা ঘটছে।