
সকালে ঘুম থেকে উঠে পত্রিকার পাতায় কিংবা ফেসবুক এ চোখ রাখলেই দেখি একি খবর “করনা ভাইরাস ” রীতিমত মানুষকে একটা নিছক ভয়ের মধ্যে রাখা হচ্ছে বলে আমার মনে হয়! সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত সবার মানি,তাই বলে এতটাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে যাওয়ার মানে হয় কি? চায়না থেকে আসা এই করোনা ভাইরাস কি করে শুধুমাত্র ইতালির লোমবারদিয়া বিভাগ এবং ভেনেতো বিভাগে এত বেশী প্রভাব পড়ে? ইতালির রাজধানী রোমে করোনা ভাইরাস এর সূচনা শুরু হয়। সেখানে তো কোনো প্রকারের প্রভাব পড়েনি? চায়না এশিয়ান দেশের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, আর যেসব দেশ এশিয়ার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত সেসব দেশে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর কথা সবচেয়ে বেশী ! এখন প্রশ্ন হচ্ছে সেসব দেশে না হয়ে কেন ইউরোপের ইতালিতে করোনা ভাইরাস এর প্রকোপ এত বেশী? শুধুমাত্র ইতালিতেই কি চায়না অধিবাসী রয়েছে ?
পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কি চায়না অধিবাসী নেই? তাহলে সেখানে কেন করোনা ভাইরাস এর প্রকোপ নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি নেই। এবার আসি চায়না লোকজনের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে। চীন দেশের মানুষরা আজ কি নতুন করে সাপ,কেঁচো, কুকুর, বিড়াল, শূকর খাওয়া শুরু করল? চীন সৃষ্টিলগ্ন থেকেই এসব খাবার খেত। এত বছর কেনো করোনা ভাইরাস হয়নি? কেন ২০২০ সালে করোনা ভাইরাস এর আবির্ভাব? এটাকে খোলা চোখে দেখলে খুব স্বাভাবিকই মনে হয়। আসলে কি এতটাই স্বাভাবিক? করোনা ভাইরাস এর নিয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম যত দেখছি? HIV, HPV virus এর মত মারাত্মক ক্ষতিকর ভাইরাস নিয়ে যতটা সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল যা করতে দেখা যায়নি। করোনা ভাইরাস এ মৃত্যুর আশংকা মাএ ২%একজন সুস্থ সবল মানুষের।
বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি থাকে তার কারন হলো তাদের ফুসফুসের জোর খুব কম থাকে । এ যাবত কাল ইতালিতে যাঁরা মারা গেছেন তাদের মধ্যে বেশীরভাগ লোকই বয়স্ক মানুষ ।
এখন কথা হচ্ছে সুদূর চীন থেকে ইতালিতে কি করে পাড়ি জমালো ইতালিতে? যদি সূক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হয় তাহলে এ কথা স্পষ্ট যে এ ভাইরাসকে ছড়ানো হয়েছে জেনে বুঝে। যাতে করে চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বন্ধ করা যায়। চীন জাতীরা সব কিছুকেই খুব সুন্দর করে নকল করতে পারে। এবং পারমাণবিক বোমা, অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে চীন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এগিয়ে আছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে। এমনকি ইতালিতে চোখ রাখলেও এর ব্যতিক্রম কিছু দেখা যায় না। চীনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চারিদিকে। ভেনিসে রেস্টুরেন্ট সেক্টর এখন চায়নাদের দখলে। একটা প্রবাদ আছে যদি কারো ক্ষতি করতে চাও তাহলে তাকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দাও। এখন কথা হচ্ছে চায়নাদের অর্থনৈতিক ধস নেমে এলে লাভ আসলে কাদের বেশী? আমার তো মনে হয় আমেরিকার । নয়তো চায়নাদের তৈরি করা করোনা ভাইরাস এর ভ্যাকসিন কেন গ্রহণ যোগ্যতা পেল না?
পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে,ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে আমেরিকা এবং ইন্ডিয়া। আমেরিকার প্রেসিডেনট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ইন্ডিয়া যায় এবং তাজমহলকে সামনে রেখে ছবি তুলে। আর তার পরের সপ্তাহেই আবিষ্কার করে ইন্ডিয়া করোনা ভাইরাস এর ভ্যাকসিন ।কিছুটা হাস্যকর ও বটে! পরিস্থিতি অবলোকন করলে দেখা যায় যে চীন কে দুর্বল করলে লাভের লাভ হচ্ছে আমেরিকার। চীনের করোনা ভাইরাস এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে আমেরিকা তাই প্রমাণ করল, পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিল করোনা ভাইরাস এর পেছনের ইতিহাস যা সাধারণ জনগণের কাছে পরিষ্কার নয়। আমেরিকা আর ইসরাইল পারমাণবিক শক্তি তৈরির ক্ষেত্রে এখন অনেক বেশি শক্তিশালী রুপ নিবে। চীন অর্থনৈতিভাবে চাঙ্গা থাকলে তা সম্ভব হবে না কোনোদিন। এটাই মোখ্যম সূযোগ চীনকে দাবিয়ে রাখার। এ সূযোগকে হাতছাড়া করতে কে চায় ? মিয়ানমারে যখন ছিল তুমুল দাঙ্গা মানুষ হত্যা করা হয়েছিল। পশু, পাখির মতো মারা হয়েছিল শিশু,কিশোর,নবীন, প্রবীন সবাইকে । আন্তর্জাতিক আইনকে এত সক্রিয় হতে দেখা যায়নি! মানবতার খুন হয়েছিল সেদিন, মানবতার মগজের ভিতরে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল সেদিন ।
মানব মস্তিষ্কের ভাইরাস রোধের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা অপরিহার্য ছিল! আজ অবধি সে ভ্যাকসিন তৈরি করেনি কোনো দেশ। ভাইরাস কিন্তু আজও আছে যার চরম মূল্য দিচ্ছে রোহিঙ্গারা । আজও পড়ে নিজেদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে বিদেশে বিভূয়ে । সারা পৃথিবীর মধ্যে চলছে স্নায়ুযুদ্ধ। এর কোনো সমাধান আদৌ আছে কি ? আমার তো মনে হয় আবার যদি বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হয় কেউ আর অস্ত্র চালাবেন না । ভাইরাস ছেড়ে মানুষ মারবে। আফ্রিকায় একবার আমেরিকা ভাইরাস ছেড়ে অনেক মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছিল। আফ্রিকার জনগোষ্ঠীর জন্য যা ছিল হুমকি স্বরূপ। ঘুনধরা সমাজ আর ভাইরাস এ আক্রান্ত হওয়া মানুষদের মস্তিষ্কের জন্য ভ্যাকসিন তৈরি করা এই মূহুর্তে আবশ্যক । নয়তো কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেই মানুষ জনগোষ্ঠীকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। মোদ্দাকথা মনুষ্যত্বকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ঘুমিয়ে থাকা মনুষ্যত্বকে সজাগ করতে হবে। তবেই পৃথিবী হয়ে উঠবে বসবাসের যোগ্য!
Array