
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তর। গতকাল বুধবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর মিরপুর ১০নং গোলচত্বর থেকে মিরপুর গার্লস আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ অতিক্রম হয়ে মিরপুর ১৩নং বিআরটিএ-এর সামনে গিয়ে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী এই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন। নেতাকর্মীরা কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সোচ্চার কন্ঠে মিছিলে মুহুর্মুহু সেøাগান দেন। খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ৯ এপ্রিল নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার রাজধানীর বকশিবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে অবস্থিত ঢাকার দুই নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এএইচএম রুহুল ইমরানের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার বিবাদী দুই মামলায় কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির না করে কাস্টডি পাঠায় কারা কর্তৃপ। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, জ্যেষ্ঠ জেল সুপারের স্বারিত কাস্টডিতে (হাজতি পরোয়না) লেখা হয়েছে, ‘সংশ্লিষ্ট বন্দি বিজ্ঞ আদালতে যেতে অনিচ্ছুক।’ কাজল আদালতে বলেন, মামলাটি অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। আমরা মামলাটির শুনানি করতে চাই। : অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ তালুকদার বলেন, আমরা মামলাটির সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পাইনি। কাগজপত্র চেয়ে আবেদন করেছি। মামলার বিবাদী বেগম খালেদা জিয়া ও আমিনুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করছি। এর উত্তরে মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আদালতে কাগজপত্র সব তৈরি আছে আপনারা সংগ্রহ করে নেন। সব কাগজ পেলে পরবর্তী সময়ে চার্জ শুনানি করতে হবে। এদিন সকাল সোয়া ১১টায় আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়ে তা শেষ হয় সাড়ে ১২টায়। : আদালতে বাইরে এসে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এজন্য আদালত আগামী ৯ এপ্রিল পরবর্তী চার্জ শুনানির দিন ঠিক করেন। : দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রণাবেণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা তি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়। ওই বছর ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার অস্থায়ী বিশেষ জজ ২-এর বিচারক এএইচএম রুহুল ইমরান বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামিকে আদালতে উপস্থিত করার জন্য আদেশ দেন। এদিন রাষ্ট্রপরে আইনজীবী বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামির আদালতে হাজির করার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট দেয়ার আবেদন করেন। : উল্লেখ্য, এ মামলায় অভিযুক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন। কিন্তু জামায়াত নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১১ জন। এরা হলেনÑ বেগম খালেদা জিয়া, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন।
Array