ঘুষ দেয়া-নেয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ঘুষবিরোধী একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন ট্রেস ব্রাইবারি রিস্ক ম্যাট্রিক্স-এর জরিপে এ চিত্র ফুটে উঠেছে। ২০১৯ সালের জরিপে ওই তালিকায় ২০০ দেশের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ঘুষের ঝুঁকির ক্ষেত্রে আগের বছরের চেয়ে দুই পয়েন্ট বেড়ে ৭২ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ ১৭৮তম অবস্থানে আছে। এর অর্থ হলো এ দেশে ঘুষের ঝুঁকি আগের চেয়ে বেড়েছে।
বাংলাদেশের এই স্কোর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, যেখানে ভারত ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে ৭৮তম এবং পাকিস্তান ৬২ পয়েন্ট নিয়ে ১৫৩তম অবস্থানে আছে। চারটি বিষয়কে আমলে নিয়ে এই স্কোরিং করেছে সংগঠনটি।
ঘুষের ঝুঁকির সূচকে সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ পাঁচটি দেশ হলো নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। আর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিসম্পন্ন দেশগুলো হচ্ছে যথাক্রমে ভেনেজুয়েলা, ইয়েমেন, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ সুদান ও সোমালিয়া। কোনো খাতের প্রাপ্য স্কোর ভালো না খারাপ তা বিবেচনা করা হয় ওই খাতের সার্বিক ব্যবস্থাপনার বিচারে। সরকারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিচারে বাংলাদেশকে ৮৬ স্কোর দেয়া হয়েছে। কেননা, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের সক্রিয়তা থাকায় ঘুষ গ্রহণের আকাঙ্খাও উচ্চ থাকে। বেড়ে যায় নিয়ন্ত্রক ঝুঁকিও। ঘুষবিরোধী প্রতিরোধক ও প্রয়োগের বিচারে বাংলাদেশ পেয়েছে ৬৩ স্কোর। দেশে ঘুষ গ্রহণ দমনে পর্যাপ্ত পদক্ষেপের অভাব ও ঘুষবিরোধী আইনের প্রয়োগ স্বল্পতার কারণে এই স্কোর দেয়া হয়। সরকারি ও নাগরিক সেবায় স্বচ্ছতার বিচারে বাংলাদেশকে ৬০ স্কোর দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া নাগরিক সমাজের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার বিচারে বাংলাদেশ পেয়েছে ৬৪। দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মান নিম্নপর্যায়ে হওয়ায় এবং নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ কম থাকায় এই স্কোর দেয়া হয়।
Array