
banglavoicebd : জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙা বলেছেন, জাতীয় পার্টিকে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দল হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করা হবে। তিনি বলেন, তৃণমূলের সকল নেতা-কর্মীদের আবারো সংগঠিত করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করতে আমরা আরো রাজনৈতিক কর্মী তৈরী করবো। তিনি জাতীয় পার্টির সকল স্তরের নেতা-কর্মী এবং গণমাধ্যমের সহায়তাও কামনা করেন। আজ সোমবার বিকেল ৪টায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে নব-নিযুক্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মহাজোটের কাছে জাতীয় পার্টি ৫২টি আসন প্রত্যাশা করে। তবে মহাজোটের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই মহাজোটের আসন চুড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, ৯ ডিসেম্বরের মধ্যেই চুড়ান্ত ভাবে আসন বন্টন হবে। কোনভাবেই মহাজোটে ভুল বোঝাবুঝি হবেনা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মসিউর রহমান রাঙা বলেন, দলের মধ্যে কেউ মনোনয়ন বানিজ্যে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে দলীয় ভাবেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ জন্য প্রয়োজনে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হবে।
নব-নিযুক্ত মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙা আরো বলেন, গত নির্বাচনের আগেও দলের মধ্যে একটি ভুলবোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছিলো। তাতে আমরা নির্বাচনে প্রত্যাশিত ফলাফল পাইনি। এবারো নির্বাচনের পূর্বে একটি অশুভ শক্তি তৎপরতায় স্বাভাবিক কর্মকান্ড বাঁধা গ্রস্থ হচ্ছিলো। হায়েনার মতই অশুভ শক্তি তৎপরতা শুরু করেছিলো।
বিএনপির সমালোচনা করে মসিউর রহমান রাঙা বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে বিনা বিচারে সাত সাত বছর জেলখানায় আটকে রেখে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিলো। আর একারনেই জাতীয় পার্টি বিএনপিকে সমর্থন না দিয়ে, আওয়ামী লীগকে সরকার গঠনে সহায়তা করে।
গণমাধ্যমের সাথে আলোচনায় নব নিযুক্ত মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙা আরো বলেন, আমরা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আদর্শ তৃণমূলে আবারো ছড়িয়ে দেবো। যাতে প্রতিটি মানুষ ভোট দেয়ার আগে একবার হলেও ভেবে দেখবেন। তাদের সামেন তুলে ধরা হবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ন’বছরের শাসনামল। তিনি বলেন, সাধারন মানুষের কাছে আমরা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উন্নয়ন, সুশাসন এবং মানবিক কর্মসূচি তুলে ধরতে পারলে, দেশের মানুষ অবশ্যই জাতীয় পার্টির লাঙলে ভোট দেবে।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ হাফিজ উদ্দিন, সুনীল শুভরায়, আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান, মেজর (অব.) মোঃ খালেদ আখতার, শফিকুল ইসলাম সেন্টু। উপদেষ্টা মন্ডলীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ নোমান, সোমনাথ দে, মোর্শেদ মুরাদ ইব্রাহিম, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী,। ভাইসচেয়ারম্যান, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, জহিরুল ইসলাম জহির, আলমগীর সিকদার লোটন, যুগ্ম মহাসচিব- গোলাম মোহাম্মদ রাজু, জহিরুল আলম রুবেল, দিদারুল কবির দিদার, সাংগঠনিক সম্পাদক- মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম, মোবারক হোসেন আজাদ, আমির হোসেন ভূঁইয়া, মোঃ জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, মোঃ হেলাল উদ্দিন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যবৃন্দের মধ্যে ছিলেন- সুলতান মাহমুদ, অনন্যা হুসাইন মৌসুমী, এম.এ. রাজ্জাক খথান, মৌলভী ইলিয়াস, আবু সাঈদ স্বপন, কাজী আবুল খায়ের, হাসান মঞ্জু, হাফেজ ক্বারী ইসারুহুল্লাহ আসিফ, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলে এলাহী সোহাগ, রেজাউল রাজি স্বপন চৌধুরী, আক্কাস আলী সরকার, আজাহার সরকার, আলমগীর কবির, মামুনুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন মিলন, ফারুক শেঠ, ওলিউল্লাহ মাসুদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
Array