
ঢাকা- মঙ্গলবার ০২ মার্চ, ২০১৯ ইং :
বিরোধী দলীয় উপ-নেতা ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ এমপি বলেছেন, জাতীয় পার্টিতে কোন দ্বিধা-বিভক্তি নেই। জাতীয় পার্টির সবাই পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। সাম্প্রতিক সময়ের অগ্নিদূর্ঘনা প্রসঙ্গে বেগম রওশন এরশাদ বলেন সরকারকেই আগুনের প্রকৃত কারন খতিয়ে দেখতে হবে। এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেও সরকারের প্রতি আহবান জানান বেগম রওশন এরশাদ। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মামলা প্রসঙ্গে বিরোধী দলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ বলেন, পল্লীবন্ধুর নামে রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। তিনি বলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দক্ষিন এশিয়ার উন্নয়নের শ্রেষ্ঠ রুপকার, তাকে দমিয়ে রাখার জন্যই তার নামে রাজনৈতি মামলা দেয়া হয়েছিলো। আগামী দিনে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় নিতে দলকে আরো শক্তিশালী করতে জাতীয় যুব সংহতির নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান। জাতীয় পার্টির নয় বছরের শাসনামলের কথা উল্লেখ করে বেগম রওশন এরশাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। আর দেশের মানুষের কাছে স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ তুলে দিয়েছেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বেকারত্ব দূর করতে চাকরীর বয়স সীমা ৩৫ বছর করা, ব্যাপক শিল্প বিকাশের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি। এছাড়া গ্যাসের দাম কমানোর দাবিও জানান বেগম রওশন এরশাদ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কাকরাইলস্থ জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে জাতীয় যুব সংহতির ৩৬ তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কীর সমাবেশে বেগম রওশন এরশাদ এমপি প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি আলমগীর শিকদার লোটনের সভাপতিত্বে এর আগে বক্তৃতায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের এমপি বলেন, জাতীয় পার্টি হচ্ছে দেশের ইতিবাচক রাজনীতির মূল নিয়ামক শক্তি। আর জাতীয় পার্টির মূল শক্তি হচ্ছে জাতীয় যুব সংহতি। তিনি জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে যুব সংহতির নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যরিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, দেশের মানুষ পল্লীবন্ধুর শাসনামলে ফিরে যেতে চায়। বলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের কল্যাণে যে স্বপ্ন দেখেছেন, আমরা তা বাস্তবায়ন করবো। এজন্য দলকে আরো শক্তিশালী করতে সবার প্রতি আহবানও জানান ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি।
আজ মঙ্গলবার, জাতীয় যুব সংহতি’র ৩৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কাকরাইল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল ৯টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০টায় সমাবেশ ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় যুব সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আহসান শাহাজাদা’র সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের এমপি, ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, জাতীয় যুব সংহতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এটিএম রফিকুল ইসলাম হাফিজ।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপিকা মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী এমপি, ফকরুল ইমাম এমপি, অ্যাড. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মীর আবদুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, অ্যাড. মোঃ রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, মিজানুর রহমান, চেয়ারম্যানের উপদেস্টা রওশন আরা মান্নান এমপি, নাজমা আক্তার এমপি, ড. নুরুল আজহার শামীম, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, নুরুল ইসলাম নুরু, সরদার শাহাজহান, যুগ্ম-মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, শেখ আলমগীর হোসেন, জহিরুল আলম রুবেল, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মোবারক হোসেন আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইসহাক ভুইয়া, সুলতান মাহমুদ, মোঃ জসিম উদ্দিন ভুইয়া, এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, সৈয়দা পারভীন তারেক, মিজানুর রহমান মিরু। কেন্দ্রীয় নেতা, আক্তার হোসেন দেওয়ান, এমএ সোবহান, মাহবুবুর রহমান খসুরু, এমএ কুদ্দুছ মানিক, তাসলিমা আকতার রুনা, মিজানুর রহমান মিরু।
জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় নেতা- আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিন, শাহজাহান কবির, মোঃ হেলাল উদ্দিন, মোহার হোসেন চৌধুরী রাশেদ, মিয়া আলমগীর, মোঃ দ্বীন ইসলাম শেখ, মোঃ শহিদুল ইসলাম সেন্টু, মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, মোঃ নুরুল বশর সুজন, মোঃ শফিকুল ইসলাম দুলাল, মাহমুদ আলম, কামাল হোসেন, গোলাম মোস্তফা আঙ্গুঁর, আবুল কালাম আজাদ টুলু, হেলাল খান, শেখ গোলাম সারোয়ার, ফায়জুল ইসলাম টিপু, গাজী এমএ সালাম, জারা আলী, মোঃ জুয়েল, হানিফ হোসেন বাবু, মোঃ হাজারী, রফিকুল আলম প্রধান, মোঃ মাঈনুদ্দিন, গোলাম মোস্তফা, জি.এম শহিদ, আরিফুল ইসলাম রুবেল, মীর মোঃ বাসেত, মোহাম্মদ ওহাব, মোহাম্মদ উল্লাহ, ফরহাদ সরকার, সামশেদ তাবরেজ, ছাত্রনেতা মোঃ ইব্রাহিম খাঁন জুয়েল, শাহ ইমরান রিপন, মোখলেছুর রহমান বস্তু প্রমুখ।
Array