
হ্রাসকৃত সুদ হারের কারণে রাজস্ব আয়ে ভুগতে থাকা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড(এনবিআর) করের ক্ষেত্রে অন্তত ৫০০ কোটি টাকার ধাক্কা খাবে। সবমিলিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে রাজস্ব ঘাটতি লাখ টাকা ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছে অর্থমন্ত্রণালয়।
বোধবার, অর্থমন্ত্রণালয় এবং এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবর্তিত ‘রফতানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) আকার বাড়ানো হয়েছে। এই প্যাকেজের মাধ্যমে ‘ব্যাক-টু-ব্যাক’ এলসির আওতায় কাঁচামাল আমদানি সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ইডিএফের বর্তমান আকার ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের উন্নীত করা হয়েছে। এর ফলে ইডিএফ তহবিলে ১৫০ কোটি ডলারের সমপরিমান ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা নতুন করে যুক্ত হবে। ইডিএফ’র বর্তমান সুদের হার হচ্ছে লন্ডন আন্তব্যাংক সুদের হার (লাইবর) এবং এর সাথে ১ দশমিক ৫ শতাংশের যোগফল। ফলে এই সুদের হার হবে ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অর্থ বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনীতি ঠিক রাখতে কয়েকটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে দু’টি প্যাকেজে সুদ হার কমানো হয়েছে। এই দুই প্যাকেজের আওতায় ব্যবসায়ীরা কোন জিনিস আমদানি করলে আমদানি ব্যয় কম হবে। ফলে জিনিসের দাম কমবে। আর এ কারণে করও কম দিতে হবে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এতে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় কম হবে।
Array