• ঢাকা, বাংলাদেশ

তদ্বির, টেন্ডার, বাণিজ্য বন্ধ: মন্ত্রীদের ১০ অনুশাসন আসছে 

 admin 
09th Jan 2019 5:28 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

মন্ত্রীদের ১০ অনুশাসন – তদ্বির প্রশ্রয় না দেয়া, মন্ত্রণালয়ে দলীয় কর্মীদের নিরুৎসাহিত করা, টেন্ডার বাণিজ্য বন্ধসহ ১০ দফা অনুশাসন আসছে নতুন মন্ত্রিসভার জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই এসব দিক নির্দেশনা দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চতুর্থ দফায় সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি বন্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করেছেন। মন্ত্রণালয়গুলোতে কাজে গতি আনতে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সকল মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম মনিটরিং করবে বলেও একটি সূত্র জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দূর্নীতি বন্ধ নতুন সরকারের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভাকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেবেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর নতুন মন্ত্রিসভার জন্য যে ১০ টি অনুশাসন দিতে পারেন সেগুলো হলো;

১.  মন্ত্রীরা তাঁদের দপ্তরে কাজে তদ্বির বা অন্যায় আবদার প্রশ্রয় দেবেন না।

২. মন্ত্রণালয় দাপ্তরিক কাজের স্থান। সেখানে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের যাওয়া নিরুৎসাহিত করতে হবে। রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের জন্য দলীয় কার্যালয়ে, বাসায় বা নিজস্ব কার্যালয়ে আলাদা সময় দেয়ার চেষ্টা করতে হবে।

৩. টেন্ডার বাণিজ্য কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রন করতে হবে। সরকারি কাজ বন্ঠন হবে নিয়মনীতির ভিত্তিতে।

৪. নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপারিশ এবং ডিও লেটার ইস্যু করা যাবে না। যোগ্য এবং যথাযথদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

৫. মন্ত্রীদের দাপ্তরিক কাজে মনোযোগী থাকতে হবে। দ্রুত ফাইল নিষ্পত্তি করতে হবে। কোন ফাইল অকারণে দীর্ঘ সময়ে আটকে রাখা যাবে না।

৬. মন্ত্রণালয়ে টীম ওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। সচিব এবং উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা মিলে সম্মিলিত ভাবে লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব বণ্টনও সুনির্দিষ্ট করণ করতে হবে।

৭. আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যে লক্ষ্য যে মন্ত্রণালয়ের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে, তা অগ্রাধিকার তালিকায় রাখতে হবে। ইশতেহারের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সময় নির্ঘন্ট তৈরি করতে হবে।

৮. গত দশবছরে যে অর্জনগুলো হয়েছে, তা উর্ধ্বে তুলে ধরে নতুন অর্জনের লক্ষ্য স্থির করতে হবে।

৯. মন্ত্রণালয়ের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। জন হয়রানি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জনকল্যাণমুখী এবং জনবান্ধব মন্ত্রণালয় গড়তে হবে।

১০. দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। দুর্নীতি বন্ধে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে কার্যকর এবং প্রায়োগিক কৌশল গ্রহণ করতে হবে।

এই ১০ দফা অনুশাসনের বাইরেও প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের শুরুতেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে যেতে পারেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি লক্ষ্য (টার্গেট) নির্দিষ্ট করে দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘জনকল্যাণ এবং জনবান্ধব একটি সরকার প্রতিষ্ঠাই প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য। মন্ত্রণালয় যেন জনকষ্টের স্থান না হয়ে জনকল্যাণের স্থান হয়, সে লক্ষ্যেই কাজ করবে নতুন সরকার।

সূত্র – বাংলা ইনসাইডার

‘দুর্নীতি দমনে দৃশ্যমান অগ্রগতি দুই মাসের মধ্যে দেখা যাবে’

দেশের সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি রোধে দৃশ্যমান অগ্রগতি দুই মাসের মধ্যেই চোখে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি দমনে নতুন সরকারের যে রাজনৈতিক অঙ্গীকার তা আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। আমরা সরকারের এ দুর্নীতি বন্ধের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সর্বশিক্ত নিয়োগ করবো। নিয়োগ বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য, কমিশন বাণিজ্যসহ সেখানেই দুর্নীতির গন্ধ পাবো সেখানেই গিয়ে আমরা হাজির হবো।’

নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা দুদক সংগ্রহ করেছে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটা ধর-মার-কাট কোনো বিষয় নয়। সেখানেই দুর্নীতি পাবো সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১