জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর মন্ত্রীদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা না নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় এই নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক মন্ত্রী ঢাকা টাইমসকে এ তথ্য জানিয়েছে।
আগামী বৃহস্পতিবার ভোটের তফসিল হতে যাচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অসাংবিধানিক ঘোষণার পর ওই সংসদেই সংবিধান সংশোধন করে দলীয় সরকারের অধীনে ভোটের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হয়। তবে বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে এই ব্যবস্থায় সব প্রার্থী সমান সুযোগ পাবেন না। বিশেষ করে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা তাদের নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে ভোটে প্রভাব ফেলবেন।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দেয়া হচ্ছে যে, ভোটে কেউ প্রভাব ফেলবে না। সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, মন্ত্রীরা নিরাপত্তা ছাড়া কোনো সরকারি সুবিধা পাবেন না, এমনকি তারা পতাকাও ব্যবহার করবেন না।
প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সবাই নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলেবেন। সরকারি গাড়ি ব্যবহারসহ কোনো ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেবেন না।’
‘আইন অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী প্রচারণাকালে সরকারি কোনো সুযেগ-সুবিধা নিতে পারবেন না মন্ত্রী বা এমপিরা।’
বৈঠকে ২০১৩ সালের মতো নির্বাচনকালীন আলাদা কোনো সরকার গঠন হবে কি না, এ নিয়েও কথা হয়। প্রধানমন্ত্রী জানান, পাঁচ বছর আগের ব্যবস্থা এবার ফিরবে না। বলেন, ‘এ সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার। তবে তফসিল ঘোষণার পর এ সরকারের কার্যপরিধি কমে যাবে।’
‘গত নির্বাচনের আগে ছোট আকারে নির্বাচনকালীন সরকার করার কথা ভাবা হয়েছিল। কারণ, তখন সংসদে বিএনপি ছিল। তাদেরকে নির্বাচনকালীন সরকারে আনার জন্য সে চিন্তা করা হয়েছিল।…এবার তো সংসদে বিএনপি নেই। আর নির্বাচনকালীন সরকারে অনির্বাচিত কাউকে রাখা যাবে না। তাই এ সরকারকে আর ছোট করার কোনো দরকার নেই।’
Array