বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেছেন, আমাদের দাবি-দাওয়ার কথা সংলাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উত্থাপন করেছি। এখন দাবি-দাওয়া মানা না মানা তার বিষয়।
তিনি বলেন, যদি দাবি মানা হয় তাহলে আমরা নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করবো। আর যদি আমাদের দাবি মানা না হয় তাহলে রাজপথই হবে আমাদের ভরসা।
মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে সংলাপ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, বল এখন প্রধানমন্ত্রীর কোটে, এখন উনি কী করবেন উনিই ভালো বোঝেন।
এদিকে বিরোধীদের আন্দোলেনের হুমকির প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপনারা আন্দোলনের নামে সহিংসতা করবেন আর আমারা ঘরে বসে ঠুগঠুগি বাজাবো? তা তো হয় না।
এর আগে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সংলাপে (দ্বিতীয় দফা) দাবি মানা না হলে রাজপথের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে। রাজপথ খোলা আছে।’
মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টায় মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শুরু হয়। চলে রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত।
সংলাপে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের পক্ষে নেতৃত্ব দেন জোট নেতা শেখ হাসিনা। বাম গণতান্ত্রিক জোটের ১৬ নেতা যোগ দেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও পলিট ব্যুরো সদস্য হায়দার আকবর খান রনো, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সদস্য শুভ্রাংশু চক্রবর্তী ও আলমগীর হোসেন দুলাল।
এ ছাড়া আরও ছিলেন- গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য ফিরোজ আহমেদ, বাংলাদেশ ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন নান্নু ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মমিনুর রহমান বিশাল, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রনজিৎ কুমার।
Array