আড়াইহাজারে স্ত্রীকে আনতে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে পুলিশের সামনেই হামলা শিকার হয়েছেন বর ও বরের সঙ্গে থাকা আরো ৫ জন।
হামলায় আহতরা হলেন, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন দেউলপাড়া এলাকার বর আরমান মোল্লা ও তার বাবা রমিজউদ্দিন মোল্লা, নিকট আত্মীয় আউলাদ হোসেন, সাইফুল ইসলাম,রাশেদ খান রাজু ও হারুন মোল্লা।
আহতের উদ্ধার করে পুলিশ থানায় নিয়ে আসার পর স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার কথায় আহতদের মামলা না নিয়ে ফের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে আড়াইহাজার থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত (ওসি) পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এমনকি বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে নিজের ইচ্ছেমত একটি জিডি লিখে বরের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে নেন তিনি।
আরমান মোল্লা জানান, চলতি বছরের ২১মে নারায়ণগঞ্জ আদালত মোকাম বিজ্ঞ নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে আড়াইহাজার উপজেলার গহরদী এলাকার প্রবাসী কবির হোসেনের মেয়ে স্বপ্না আক্তার (১৯) এর সঙ্গে ২ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে ২০ হাজার টাকা ওয়াশিল দিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই।
বিবাহের পর কনের পরিবারের লোকজন মেনে নেয়। গত ২জুন কনের মা জোসনা বেগম ঈদ উপলক্ষে স্বপ্নাকে তার বাবার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে আমার সঙ্গে আমার স্ত্রীর সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ৪ জুন একটি মোবাইল নাম্বার থেকে আমাকে নানা ভাষায় হুমকী দিয়ে থাকেন।
এর পর আমি ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। যাহার নং- ৩১০। তারিখ ৮-৬-১৯ইং। উক্ত ডাইয়েরীর বিষয়টি ফতুল্লা থানার ওসি আড়াইহাজার থানার ওসিকে অবহিত করেন।
তিনি জানান, রোববার বিকালে আড়াইহাজার থানার এসআই আতাউরসহ কনের বাড়িতে যান। এ সময় পুলিশের সামনেই আমার সঙ্গে থাকা বাবাসহ অন্যন্যদের ওপর হামলা চালানো হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে এসআই আমাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
এ ঘটনায় মামলা করতে থানায় গেলে আড়াইহাজার থানার সাময়িক দায়িত্বপ্রাপ্ত (ওসি) পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম কনে পক্ষের পরিচিত এক স্থানীয় যুবলীগ নেতার সামনে লাহ্নিত করেন এবং বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে নিজের ইচ্ছেমত একটি জিডি লিখে আমার (বর) কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে নেন।
আরমান মোল্লা আরো জানান, থানার কর্তব্যরত ডিউটি অফিসারের রুমে স্থাপনকৃত সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানার সাময়িক দায়িত্বপ্রাপ্ত (ওসি) পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম জানান তার বিরুদ্ধে আনিত এসব অভিযোগ সঠিক নহে। তারা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
Array