‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভালো হয়নি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের এমন অভিযোগের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেননি ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকরা।’
রোববার সন্ধ্যায় কূটনীতিকদের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শেষে ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ৫০ বছর উদযাপন করব সবাই মিলে কিন্তু দুঃখের বিষয় নির্বাচনে তা কীভাবে ধ্বংস হয়ে গেল। আমাদের আকাঙ্ক্ষিত নির্বাচন হয়নি তাই আমরা পুন:নির্বাচন দাবি করছি।’
আপনাদের অভিযোগের বিষয়ে তারা কী বলল এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ‘আমার তো মনে হয় তারাও একই বিষয় দেখেছেন। আমরা যেটা দেখেছি তারাও সেটা মনে করছেন।’
বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে তাদের কোনো আশ্বাস পেয়েছেন কি-না এমন প্রশ্নে কামাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের কথা হলো যা হবার তা হয়ে গেছে এখন ভালো একটা নির্বাচন হোক, ভালো সমাজ নির্মাণের জন্য।’
পুনরায় নির্বাচনের জন্য তারা সরকারকে চাপ দেবে কি-না এমন আশ্বাস দিয়েছেন কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা তো আবেদন রাখছি একটা ভালো নির্বাচনের জন্য। এক্ষেত্রে তারা জনগণের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে কারও বিপক্ষে না। এছাড়া তারা তো সরকারের শুভাকাঙ্ক্ষী আর সরকারও তো চায় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হোক।’
বৈঠক থেকে বের হয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি কূটনীতিকদের বুঝাতে আমরা সক্ষম হয়েছি। তারা ও আমাদের কথা বুঝেছেন এবং আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের কাছে নির্বাচনের কিছু ডকুমেন্ট দিয়েছে যে নির্বাচনের আগের দিন ও পরের দিন কী হয়েছে। সেই সঙ্গে ডকুমেন্ট অনুসারে আমরা তাদের একটা পেনড্রাইভ দিয়েছি, যাতে তারা দেখতে পারেন নির্বাচনের আগের এবং পরের দিন কী হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিকরা সবাই ধৈর্য সহকারে আমাদের কথা শুনেছেন এবং শোনার পরে তারা আমাদের একটা প্রশ্ন করেছেন এখন কী করবেন নির্বাচন তো হয়ে গিয়েছে।’
জাফরউল্লাহ বলেন, ‘আমরা তাদের এই প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছি আমরা পুনরায় একটা ফেয়ার নির্বাচন চাই যে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। তারা এতটুকু বুঝিয়েছে যে নির্বাচনটা ফেয়ার হয়নি।’