বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ফেনী-১ আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজার কথা উল্লেখ করে ফেনীর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদ উজ জামান তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।
তার সঙ্গে অপর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ের সময় তিনি এ আদেশ দেন।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া অপর দুই প্রার্থী হচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ছাগলনাইয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূর আহম্মদ মজুমদার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল বশির।
সম্প্রতি দণ্ডিত ব্যক্তিরা নির্বাচন করতে পারবেন না আপিল বিভাগ এমন আদেশ দিলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আরও কিছু নেতা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না । এই শঙ্কা থেকে বিএনপিও এই আসনে আরও দুজন বিকল্প প্রার্থী দিয়ে রাখে। বিকল্প দুই প্রার্থীর মধ্যে এক নের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
বিএনপির দুই বিপল্প প্রার্থী হচ্ছেন, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুর আহম্মদ মজুমদার। নূর আহম্মদ মজুমদারের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় এ আসনে এখন বিএনপির প্রার্থী হিসেবে রফিকুল ইসলাম রইলেন।
পরশুরাম উপজেলা, ছাগলনাইয়া উপজেলা এবং ফুলগাজী উপজেলা নিয়ে গঠিত ফেনী-১। এ আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। এ আসনে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন বর্তমান সংসদ সদস্য জাসদ (ইনু) শিরীন আখতার। সম্প্রতি এ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী চেয়ে শিরীন আখতারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে দলীয় নেতাকর্মীরা।
তবে এ আসনটিতে আওয়ামী লীগ সরাসরি প্রার্থী না দিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী লড়াইয়ে এখনও আছেন দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী খায়রুল বাশার মজুমদার তপন।
তিনি ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচন করে পরাজিত হন। এছাড়াও স্বতন্ত্র হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ আব্দুল্লাসহ আরো ছয়জন।
বেগম খালেদা জিয়া এ আসনটিতে পাঁচবার জয় লাভ করেন। বর্তমানে অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে সাজা খাটছেন।