
বছর শেষ হওয়ার আগেই সারাদেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকাদানের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে জার্মানি। জার্মান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশজুড়ে ৬০টি বিশেষ টিকাদান কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। সেগুলোয় যথাযথ তাপমাত্রায় টিকাগুলো সংরক্ষণ করা হবে। আগামী ১০ই নভেম্বরের মধ্যে দেশের ১৬টি কেন্দ্রীয় রাজ্যকে টিকাদান কেন্দ্র স্থাপনের জন্য নির্ধারিত স্থানের ঠিকানা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। জার্মান গণমাধ্যম বিল্ড ডেইলির এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, বিল্ড ডেইলির প্রতিবেদনটি শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনের ভেতরে কোনো সূত্রকে উদ্ধৃত করা হয়নি। রয়টার্স জানায়, গত বুধবার জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনস স্পান করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। সপ্তাহের শুরুর দিকে এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি জানান, দেশটির ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের একটি টিকা অনুমোদন পাওয়ার খুব কাছাকাছি পর্যায়ে আছে।
উল্লেখ্য, বায়োএনটেক মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফাইজারের সঙ্গে মিলে যৌথভাবে করোনা ভাইরাসের একটি সম্ভাব্য টিকা নিয়ে কাজ করছে।
প্রথম টিকাদান কবে নাগাদ শুরু হতে পারে, এমন এক প্রশ্নের উত্তরে স্পান জানান, এ বছর শেষ হওয়ার আগেই টিকাদান শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে।
গত মাসে, বায়োএনটেক ও অপর একটি জার্মান ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কিউরভ্যাককে করোনার টিকা তৈরি ও উৎপাদনে সহায়তা হিসেবে ৭৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে দেশটির সরকার।
মঙ্গলবার, ফাইজার ও বায়োএনটেক এক ঘোষণায় জানিয়েছে, জাপানে তাদের সম্ভাব্য টিকাটির প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের টিকাটির চলমান পরীক্ষার ফলাফল চলতি মাসেই পাওয়া যাতে পারে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠান দু’টি।