
চীনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে চায়না সিনোব্যাক কোম্পানির ভ্যাকসিনের ট্রায়াল করতে বাংলাদেশ অনুমতি দিয়েছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
এছাড়া তিনি আরো বলেন, যারা স্বেচ্ছায় করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বাংলাদেশে করতে আগ্রহী হবে তাদেরকেই অনুমতি দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, তবে ডিসেম্বর-জানুয়ারির আগে কোন ভ্যাকসিন বাজারে আসবে না।
করোনার ভ্যাকসিন পেতে বিশ্ব সংস্থার কাছে বাংলাদেশ জুলাই মাসে আবেদন করেছে।
যেসব হাসাপতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর ট্রায়াল হবে সেগুলো হলো: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ইউনিট-২, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিট-১, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল এবং ঢাকা মহানগর হাসপাতাল।
হাসপাতালগুলোর চার হাজার ২০০ কর্মী এই পরীক্ষার আওতায় থাকবেন। সবার শরীরেরই ভ্যাকসিন প্রয়োগ হবে। তবে করোনার ভ্যাকসিন ‘করোনাভেক’ প্রয়োগ হবে তাদের অর্ধেক দুই হাজার ১০০ জনের ওপর। বাকি দুই হাজার ১০০ কর্মীকে নিরপেক্ষ কোনো ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
কিন্তু তাদের কেউই জানবেন না কার শরীরে করোনা ভ্যাকসিন আর কার শরীরে অন্য ভ্যাকসিন। নির্দিষ্ট সময় পরে এর কার্যকারিতা বোঝা যাবে। করোনা ভ্যাকসিনের প্রভাব এবং যাদের দেয়া হয়নি তাদের অবস্থা তুলনা করা হবে।
এই ট্রায়ালে মোট ১৮ মাস সময় লাগবে৷ সব প্রক্রিয়া শেষ করে তিন সপ্তাহের মধ্যে ট্রায়ালের কাজ শুরু হতে পারে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিএমআরসির পরিচালক মাহমুদ উজ জাহান।তবে সেটা নির্ভর করছে আইসিডিডিআর,বি-এর ওপর।
Array