
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির সমাবেশ চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে সংর্ঘের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দলটির ২৯ নেতা-কর্মীকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী শুনানি শেষে রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- শরিফ উদ্দিন ওরফে জুয়েল, ওবায়দুল্লাহ নাঈম, নাদিম হোসেন, আব্দুর রশিদ, হোসেন মিয়া, আলামিন মোল্লা, মিল্টন শেখ, সানোয়ার, জহির, রুবেল, এবাদুল, হামিদুল ইসলাম, মহসিন, জাকির হোসেন, পারভেজ রেজা, খন্দকার মুজাহিদুল ইসলাম, সওগাতুল ইসলাম, মিনহাজুল হক নয়ন, শওকত উল ইসলাম, সজীব, শামীম রেজা, শাওন জমাদ্দার, ইমন শেখ, নজরুল ইসলাম, সাজ্জাদ, রহমান রানা, মোস্তফা, মাহমুদুল হাসান ওরফে মাকসুদুল হাসান ও পলাশ মিয়া।
২৯ জনের মধ্যে প্রথম ১৩ জন রমনা থানায় দায়ের করা মামলার আসামি। বাকিরা শাহবাগ থানায় করা অপর মামলার আসামি। শাহবাগ থানার মামলায় ১৬ আসামির ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই গোলাম হোসেন খান। রমনা থানার মামলায় ১৩ আসামির সাত দিন করে রিমান্ড চান এসআই সহিদুল ওসমান মাসুম। আসামিদের পক্ষে হোসেন আলী খান হাসানসহ কয়েকজন আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে গত শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রেসক্লাবের সামনে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের প্রস্তাবের প্রতিবাদে সমাবেশ ডাকে বিএনপি। এদিন সকাল ১০টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও অনেক আগে থেকেই নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। সমাবেশকে ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা ও সংঘর্ষে জড়ায় পুলিশ। এ সময় নেতাকর্মীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় এবং সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
Array