
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত সাতজনের প্রার্থিতা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া চার প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
আদালতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ্ মঞ্জুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
হাইকোর্ট যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন তারা হলেন— জামালপুর-৪ আসনের ফরিদুল কবির তালুকদার (শামীম), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের মোসলেমউদ্দিন, ঝিনাইদহ-২ আসনের আবদুল মজিদ, রংপুর-১ আসনের আসাদুজ্জামান বাবুল, ময়মনসিংহ-৮ আসনের মাহমুদুল হাসান সুমন, জয়পুরহাট-১ আসনের ফজলুর রহমান এবং রাজশাহী-৬ আসনের আবু সাঈদ চাঁদ।
এর আগে বিএনপির এই প্রার্থীরা উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ না করা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন তাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। পরে কমিশনের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে পৃথক রিট আবেদন করা হয়। আবেদনগুলোর শুনানি নিয়ে বিএনপির এই প্রার্থীদের প্রার্থিতা স্থগিতের আদেশ দেন হাইকোর্ট। অবশ্য হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন এই প্রার্থীদের আইনজীবীরা।
এদিকে মানিকগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির খন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলুকে, নাটোর-১ আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম বিমলের পরিবর্তে কামরুন্নাহার শিরিনকে, নওগা-১ আসনে মোস্তাফিজুর রহমানকে এবং বগুড়া-৩ আসনের মাসুদা মোমিনকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু সমকালকে জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ না করে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় হাইকোর্ট ৭ জনের প্রার্থিতা বাতিলের পাশাপাশি ৪ জনের প্রতীক পরিবর্তন করেছেন।
তিনি বলেন, একজনকে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দিয়ে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর সেটা পরিবর্তন করা নির্বাচন কমিশনের গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিএনপি সেটাই করেছে। যার ফলে বঞ্চিত প্রার্থীরা আদালতে রিট করে লাভবান হয়েছেন।
Array