নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ কওমি সংবর্ধনা নিয়ে সবচেয়ে নিরপেক্ষ সঠিক এবং সচ্ছ বিশ্লেষণটি “মাহমুদ আলি” সাহেবের টাইমলাইন থেকে হুবুহু নিচে তুলে হলো।লিংকঃ- https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2303703982992605&id=100000590775764
“বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের অনেকগুলো লাইনই স্বরণীয়। তার মধ্যে একটি হচ্ছে, “রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশা আল্লাহ্ ।”
আচ্ছা, এই কথা বলার পর কি যারা পূর্ব পাকিস্তানীদের রক্ত ঝরিয়েছে তাদের উপর রাগ করে বঙ্গবন্ধু ঘরে বসে ছিলেন ? নাকি যারা culprit, যাদের কারণে রক্ত ঝরেছে, সেই খুনীদের সাথেই আলাপে বসেছেন , continuously আলাপ করে গেছেন ?
.
খিলগাঁয়ের জনি এবং শ’য়ে শ’য়ে বিএনপি ও জামাত কর্মীদের রক্তস্নাত মাটির উপর দিয়ে হেটে গিয়ে বিএনপির নেতৃবৃন্দ “সংলাপে” গিয়েছিলো পাঁচদিন আগে । আমরা দেখিনি কাউকে মীর্জা ফখরুল, মওদুদ , জমিরউদ্দিন, বা ড: মঈন খানকে তুলাধুনা করতে।
যেইখানে শত শত কর্মীরা রক্ত ঝরাচ্ছে, সেইখানে কেন্দ্রীয় নেতাদের ধমনীতে কিভাবে রক্ত বইছে ? ওনারা কি কারো সাথে দালাল করেছেন? আঁতাত করেছেন? না, লেনাদেনা তো খালি শফি হুজুরই করে, তাই না ? আমারা প্রত্যেক বিএনপি-জামাতকে দেখলাম হেফাজতের শফি সাহেবকে তুলোধুনো করে ছাড়ছেন।
মানুষের তো একটা মিনিমাম লজ্জাবোধ থাকা দরকার। জাতীয়তাবাদী মন্ত্র বুকে ধারণ করে হাজারো ছেলে রক্ত ঝরিয়েছে এবং এখনো ঝরাচ্ছে — বিএনপি এবং জামাতের — আর আপনারা হিন্দুস্তানের একটা প্রোডাক্টও সাক্সেসফুলি বয়কট করতে পারেন নাই। শফি সাহেবকে নিয়ে হাসেন আপনারা ?
নির্লজ্জের মতো সকার আর ক্রিকেট খেলা দেখে যাচ্ছেন আপনারা । অথচ বেগম খালেদা জিয়া জেলে ধুকে ধুকে মরছেন। আপনাদের মুখে আর যাইই মানাক, কারো সমালোচনা মানায় না। যেইদিন রাস্তায় মিছিল করার সাহস দেখাবেন , ব্লকেইড করতে পারবেন , সেইদিন শফি সাহেব আর শেখ হাসিনার সমালোচনা করতে পারবেন ডিল মেকিং এর জন্য। যতদিন পর্যন্ত আপনার কেন্দ্রীয় নেতারা জেলের বাইরে বসে নিশ্বাস নিচ্ছেন, ততদিন ওনারা ডিল(চুক্তি) করেই বাইরে আছেন, মনে রাখবেন। হ্যা, জনির রক্ত মাড়িয়ে গিয়ে deal করেই বেঁচে আছেন ওনারা।
Btw, ৫ই মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের শিশুরা মারা গেছে। সেইদিনের মৃতদের ছবি দিয়ে আপনার আজকে আহাজারী দেখানোটা বড্ডই দৃষ্টিকটু। আপনারটা যায়নি। যারটা যায়, সে বুঝে। ওদের শোক আপনার বুঝবার ক্ষমতা নেই। ক্ষমতা নেই বুঝি কারণ আপনাদের নেত্রী জেলে বসে নিঃশ্বেষ হচ্ছেন, আর আপনারা মায়াকান্নাও দেখাচ্ছেন না। আগের মতো ফুটানী মেরেও আর বলতে পারছেন না , “দেইখ্যা নিমু”।
হেফাজতের মৃত শিশুদের রেফারেন্স দিয়ে শফী হুজুরকে কিছু যখন বলেন, মনে রাখবেন, একটা সাইলেনট মেজোরিটি অবজ্ঞার হাসি হেসে মনে মনে বলে, ” মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশী “।
Array