
♦ নামাজে এমন অশুদ্ধ পড়লে নামাজ ভেঙে যায়, যার ফলে কোরআনের অর্থ ও উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ১/৬৩৩-৬৩৪)
♦ নামাজের ভেতর কথা বললে কিংবা এমন কোনো অর্থবোধক শব্দ করা, যা সাধারণ কথার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। (ফাতাওয়ায়ে শামি ১/৬১৩, আল বাহরুর রায়েক : ২/২)
♦ নামাজরত অবস্থায় কোনো লোককে সালাম দিলে নামাজ ভেঙে যায়। (ফাতাওয়ায়ে শামি ২/৯২, আল বাহরুর রায়েক : ২/১২০)
♦ নামাজরত অবস্থায় কারো সালামের উত্তর দিলে। (বুখারি, হাদিস : ১২১৭)
♦ উহ্-আহ্ শব্দ করলে। নামাজরত অবস্থায় কোনো ব্যথা কিংবা দুঃখের কারণে উহ্-আহ্ শব্দ করলে নামাজ ভেঙে যাবে। (আদ্দুররুল মুখতার : ১/৬১৯, আল বাহরুর রায়েক : ২/৪)
♦ অপ্রয়োজনে কাশি দিলেও নামাজ ভেঙে যায়। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ৩/৬১৮)
♦ কোনো মুসল্লি এমন কাজে লিপ্ত হলে নামাজ ভেঙে যাবে, যার কারণে দূর থেকে কেউ দেখলে তার মনে প্রবল ধারণা জন্মে যে ওই ব্যক্তি নামাজরত নয়। (ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত ৩/৪৮৫)
♦ দুনিয়াবি কোনো বিপদ-আপদ কিংবা দুঃখের কারণে শব্দ করে কাঁদলে নামাজ ভেঙে যায়। (হাশিয়াতু তাহতাবি ১/৩২৫, ফাতাওয়ায়ে শামি : ১/৬১৯
♦ নাভির নিচ থেকে হাঁটু পর্যন্ত শরীরের কোনো স্থান যদি তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় অনাবৃত থাকে, তাহলে তার নামাজ হবে না। তাই শার্ট, গেঞ্জি ও প্যান্ট পরে নামাজের সময় সতর্ক থাকতে হবে। (ফাতওয়ায়ে শামি ১/২৭৩)
♦ মুক্তাদি ছাড়া অন্য কারো লোকমা (ভুল সংশোধন) আমলে নিলে। (ফাতাওয়ায়ে আলগিরি : ১/৯৮)
♦ সুসংবাদ অথবা দুঃসংবাদের উত্তর দেওয়া দুনিয়াবি কথার শামিল, তাই এর দ্বারা নামাজ ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে শামি ১/৬১৩)
♦ নামাজের জায়গা পবিত্র হওয়া জরুরি। নাপাক বা অপবিত্র জায়গায় সিজদা করলে নামাজ ভেঙে যাবে। (বাদায়েউস সানায়ে ১/১১৫)
♦ কিবলার দিক থেকে সিনা (বুক) ঘুরে গেলে নামাজ ভেঙে যাবে। তবে যানবাহনে নামাজের ক্ষেত্রে মাসআলা ভিন্ন। (মারাকিল ফালাহ : ১/১২১)
♦ নামাজরত অবস্থায় কোরআন শরিফ দেখে দেখে পড়লে নামাজ ভেঙে যাবে। (মারাকিল ফালাহ : ১/১২৪) তবে সৌদি আরবের আলেমরা এ মাসআলার ক্ষেত্রে ভিন্নমত পোষণ করেন।
♦ নামাজে শব্দ করে অট্টহাসি দিলে অজুসহ ভেঙে যাবে। (কানজুদ্দাকায়েক : ১/১৪০)
♦ নামাজরত অবস্থায় সাংসারিক/দুনিয়াবি কোনো দোয়া করলে হানাফি মাজহাব মতে নামাজ ভেঙে যায়। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ১/৬১৯)। তবে এ মাসআলার ক্ষেত্রে অন্য মাজহাবের ভিন্নমত আছে।
♦ নামাজরত অবস্থায় কারো হাঁচির (জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বললে) উত্তর দেওয়া কথা বলার নামান্তর। এর দ্বারা নামাজ ভেঙে যায়। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ২/১১৭)
♦ নামাজরত অবস্থায় কিছু খেলে বা পান করলে নামাজ ভেঙে যাবে। দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবার নামাজরত অবস্থায় খেলেও নামাজ ভেঙে যাবে। (মারাকিল ফালাহ : ১/১২১)
♦ ইমামের আগে মুক্তাদি দাঁড়ানো। মুক্তাদির পায়ের গোড়ালি ইমামের আগে চলে গেলে নামাজ ভেঙে যাবে। তবে যদি (দুজনের জামাতে নামাজের ক্ষেত্রে) মুক্তাদি ইমামের পায়ের গোড়ালির পেছনেই দাঁড়ায়; কিন্তু তিনি লম্বা হওয়ার কারণে তাঁর সিজদা ইমাম সাহেবকে অতিক্রম করে যায়, তাহলে তাঁর নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে : ১/১৫৯)
Array