• ঢাকা, বাংলাদেশ

রোজায় ১০ পরামর্শ 

 admin 
06th May 2019 2:11 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

রমজান মাসে ধর্মীয় বিধি বিধানের পাশাপাশি দৈনন্দিন কাজ সুষ্ঠুভাবে করার জন্য স্বাস্থ্য ঠিক রাখা খুবই জরুরি। আর সে কারণেই পুষ্টিবিদরা দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পর সাহরি ও ইফতারে খাদ্যদ্রব্য বাছাই ও জীবনাচরণ বিষয়ে দিয়েছেন ১০ পরামর্শ।

০১. ভাজাপোড়া খাবার নয়
পুষ্টিবিদদের ভাষায় মাছ, ডাল, ভাত আদর্শ খাবার। ভোররাতে গরুর মাংস এড়িয়ে মুরগি খেলে ভালো হবে। তবে প্রয়োজন শাকসবজি ও ডাল শরীরের জন্য ভালো হবে। কেউ কেউ বলছেন, আগে বুঝতে হবে কোনটি তার শরীরের জন্য ভালো হচ্ছে না। যেটি ক্ষতিকর মনে হবে সেটিকে এড়াতে হবে।

০২. খাদ্য তালিকায় কী থাকবে?
পানি, ফল, চিঁড়া, রুটি, ভাত, সবজি, ডাল, ডিম, হালকা খিচুড়ি খাওয়া যেতে পারে। গোলাম মাওলা বলছেন, মানসম্পন্ন হালিম শরীরের জন্য উপকারী হবে। এটি শক্তি বাড়ায়।

০৩. সতর্ক হয়ে খেতে হবে
বিরিয়ানি, তেহারির মতো খাবারকে ভারী খাবার হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, মাঝেমধ্যে ইফতারির পর হালকা কম তেলযুক্ত তেহারি খাওয়া মন্দ না।

০৪. নিয়মিত খাবারকে গুরুত্ব দিতে হবে
পুষ্টিবিদ নাজমা শাহীনের মতে, সাধারণত একজন মানুষ নিয়মিত যেসব খাবার খান রোজার সময়ে সেগুলোই তার জন্য যথেষ্ট। তবে সারা দিন রোজা পালন শেষে পানি খেতে হবে পর্যাপ্ত। আর বেশি গরম পড়লে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

০৫. শারীরিক পরিশ্রম কমানো ও শান্ত থাকা
রোজার সময় অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম সমস্যার কারণ হতে পারে। একেবারে অলস থাকাও যেমন ক্ষতিকর তেমনি অতিরিক্ত পরিশ্রমও ক্ষতিকর হবে। তাই এসব বিষয়ে সাবধান হতে হবে।

০৬. সহজে যাতে হজম হয়
রোজা পালনকারী ব্যক্তিকে বুঝতে হবে কোন খাবারগুলো তার সহজেই হজম হয়। এসব খাবারকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। যেসব খাবার হজমে সমস্যা করে সেগুলো না খাওয়াই ভালো। কারণ রোজার সময় শরীরের এনজাইম যা হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেটি তৈরি হয় সেটি বন্ধ থাকে।

০৭. একবারে বেশি খাবার থেকে বিরত থাকা
সারা দিন রোজা পালনের পর একবারে অনেক খাবার খেলে সেটি ক্ষতিকর হতে পারে। তাই কোনোভাবেই অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। বরং ফল ও সবজি দিয়ে পরিমাণ মতো ইফতার করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

০৮. খাবার কীভাবে খাবেন?
ধীরে ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে। ইফতারির শুরুতেই পানি শরীরের জন্য উপকারী। পাশাপাশি খেজুর শক্তি জোগাতে ভূমিকা রাখে।

০৯. খাবার ও জীবনাচরণ ঠিক রাখা
শুধু খাবারই নয়, বরং এর পাশাপাশি প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম। আর কঠিন শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। ইফতারের পর বা সাহরির পর ধূমপান থেকেও বিরত থাকা উচিত।

১০. যারা ওষুধ সেবন করেন তারা রোজা করবেন কীভাবে?
রমজানে সাধারণত কিছু সমস্যা হয় যার মধ্যে রয়েছে দুর্বলতা, ক্লান্তি কিংবা অ্যাসিটিডি। আর যারা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা কিডনি জটিলতায় ভুগছেন তাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে রোজা রেখেও ওষুধ সেবন করা সম্ভব।

কারণ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইফতার থেকে সাহরির সময়ে ওষুধ সেবন করা যায়।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১