admin
06th Jan 2021 11:28 pm | অনলাইন সংস্করণ

দিন বদলের অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। টানা ১২ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন শেষে যুগ পূর্তির সময়ে হিসেব মেলানোর সময় হয়েছে। সূক্ষাতিসূক্ষ বিশ্লেষণে দেখা যায়, সফলতার পাল্লাই ভারী। একযুগ ক্ষমতায় থাকার ফলে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন বাস্তবায়নের পথ সম্ভব হয়েছে। এক কথায় বলা চলে, বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রদূত শেখ হাসিনা।
বুধবার (০৬ জানুয়ারি) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ কালচারাল এসোসিয়েশনের সভাপতি এবং লেখক মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আফজাল হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (নীলদল) এর সভাপতি, লাইফ এন্ড আর্থ সাইন্স অনুষদের প্রাক্তন ডিন অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনির। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ‘হিরো অব দ্য ইয়ার-২০২০’ শুধু তাই নয়, বাঙালি জাতির জন্য তিনি যেসব ইতিহাস সৃষ্টি করে যাচ্ছেন তার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় হিরো হয়ে থাকবেন। বাংলাদেশ যখন একটার পর একটা সংকটময় সময় অতিবাহিত করে যাচ্ছে তিনি তখন একটার পর একটা অবিস্মরণীয় দৃষ্টান্ত করে যাচ্ছেন। আজ আমি একটা কথা বলতে চাই যা অনেকেই ভুলে গেছেন হয়তো যে, মায়ানমার একসময় তার সামরিক শক্তি বাংলাদেশে প্রয়োগ করতে চেয়েছিল আন্তর্জাতিক মহলের কুচক্রীর মাধ্যমে কেননা বাংলাদেশের মতো একটি ছোট দেশ কিভাবে গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে কিভাবে একটার পর একটা দৃষ্টান্ত দিয়ে যাচ্ছে যেখানে ভারত, চায়না এখন আমাদের সাথে প্রতিযোগিতা করছে। এই ষড়যন্ত্রকে কিভাবে ঠাণ্ডা মাথায় আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা এটাকে কন্ট্রোল করলেন তার জন্য আমি তাকে ‘হিরো অব দ্য ইয়ার-২০২০’ আখ্যায়িত করতে চাই। ২০১৫ সালে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ, ২০১৮ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি মিলেছে। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে দেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৪ ডলার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ও মাথাপিছু আয়ের সাময়িক হিসাবে এই চিত্র উঠে এসেছে। বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি মুদ্রায় মানুষের মাথাপিছু আয় বছরে দাঁড়াচ্ছে গড়ে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এটা সহজেই অনুমিত যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে। ১৯৯১ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে দুই কোটিরও বেশি মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছে। স্বাধীনতার ৪৯ বছরে দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে ৬০ শতাংশেরও বেশি। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরেও জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। শেখ হাসিনার সৎ, বলিষ্ঠ এবং দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। তিনি টাইম ম্যাগাজিনের বিবেচনায় বিশ্বের প্রভাবশালী দশ নারী নেত্রীর একজন মনোনীত হয়েছেন। একজন মা যেমন সংসার পরিচালনা করায় তার কিছু বিশেষণ থাকে ঠিক তেমনি জননেত্রী শেখ হাসিনার মধ্যেও কিছু বিশেষণ আছে যা দিয়ে তিনি বাংলাদেশকে নিয়ে যত আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আছে তা রোধ করে যাচ্ছে। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্র সীমার বিরোধ নিষ্পত্তি একটি যুগান্তকারী অর্জন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা ১৬ কোটি মানুষের দেশ। সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। সেখানে আরও ৭ লাখ মানুষকেও খেতে দিতে পারবো- জাতির জনকের কন্যার এই মন্তব্যই বিরল মানবিকতার প্রমাণ।