
আসন্ন ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত খাতে কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে অর্থের ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে কৌশলগত দিকনির্দেশনার কথা বলা হয়েছে। গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড (বিসিসিটিএফ) গঠন এবং ২০০৯-২০১০ অর্থবছর হতে জাতীয় বাজেট থেকে বাংলাদেশ সরকার এই তহবিলে অর্থ বরাদ্দ করে আসছে। এটি ‘প্যারিস চুক্তি’ স্বাক্ষরকারী উন্নত দেশগুলো থেকে বাংলাদেশের তহবিল প্রাপ্তির যৌক্তিক ভিত্তিকে সুদৃঢ় করেছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিসিসিটিএফ গঠনের পর এই তহবিলে প্রথম তিন বছরে প্রতিবছর ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি পায়নি, বরং ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে সবুজ জলবায়ু তহবিলসহ উন্নত দেশগুলো গঠিত অন্যান্য আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিলে বাংলাদেশের অভিগম্যতাও এখন পর্যন্ত সন্তোষজনক নয়।
ঝুঁকি বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে চাহিদার বিপরীতে অর্থের জোগান কমে যাওয়ার এই চিত্র উদ্বেগজনক। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি মোকাবেলায় বিসিসিটিএফের তহবিলের ঘাটতি পূরণে আসন্ন ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের জোর দাবি জানায় টিআইবি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, জলবায়ু খাতে অর্থ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব না হলে, ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুঁকি যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি সবুজ জলবায়ু তহবিলসহ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক তহবিলে বাংলাদেশের অভিগম্যতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তবে, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলা ও অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকারের বহুমুখী ও যুগোপযোগী উদ্যোগ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিম-লে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।