
আপনারা হয়তো দেখেছেন- আমি তিনদিন হেলিকপ্টারযোগে ৪ জেলার বন্যা পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেছি। আমার এই যাওয়াটা ত্রাণ বিতরণ করতে যাওয়া না। আমি বন্যা পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখতে চেয়েছি। তা হেলিকপ্টার ছাড়া দেখা সম্ভব ছিলনা। যা দেখেছি তার ভয়াবহতা আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরেছি ।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর বনানী কার্যালয়ে দেশের ডেঙ্গু ও বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, জিএম কাদের আড়াই লাখ টাকারও বেশি ভাড়ায় হেলিকপ্টার নিয়ে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে যে পরিমাণ ত্রাণ দিয়েছেন তা দুই লাখ টাকার বেশি হবে না। অনেকেই বিষয়টিকে ‘খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি’ বলে মন্তব্য করেন। এ নিয়ে বেশ সমালোচনাও হয়।
ডেঙ্গু প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের আন্তরিকতার অভাব না থাকলেও তাতে সফল হয়নি। ডেঙ্গু ও বন্যায় দেশ আজ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসা ফ্রি করার আহ্বান জানান তিনি।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে দুই মেয়রের কর্মকাণ্ডে তাদের পদত্যাগ দাবি করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, পদত্যাগ দাবি করে লাভ কি। ভাল বা খারাপ যা তারাই করেছে। তবে আগামীকাল (৭ আগস্ট) সকাল ১১ টায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আমরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রতিবছর যেহেতু বন্যা হচ্ছে, তাই স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ করা, বন্যার্তদের কার্ড বিতরণ করা ও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য স্থানীয়ভাবে তহবিল মজুদ রাখা। ৫ লাখ কোটি টাকার বাজেট দিতে পারলে স্থানীয়ভাবে বন্যা মোকাবিলায় দুই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা মজুদ রাখা উচিত। সরকারের কাছে এসব প্রস্তাব তুলে ধরবেন বলে জানান জি এম কাদের।
তিনি জানান, বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ ত্রাণ নয় বন্যার হাত থেকে বাঁচতে চায়। জাতীয় পার্টি চাল, চিড়া, গুড়সহ মেডিকেল টিম পাঠিয়েছে।