টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে আগামী ১৪ নভেম্বর। আর বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরের দিনই বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান। বাংলাদেশে সর্বশেষ ২০১৫ সালে এসেছিল ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ীরা। ফলে দীর্ঘ ৬ বছর পর ফের টাইগারদের বিপক্ষে খেলতে আসছে বাবর আজমের দল।
পাকিস্তান যখন বাংলার মাটিতে সর্বশেষবার খেলতে আসে, তখন তারা টাইগারদের বিপক্ষে ধবলধোলাই হয়। বাংলাদেশ থেকে তারা দেশে ফেরে এক দুস্বপ্ন নিয়ে। সেবার ক্রিকেটের তিন ফরমেটেই মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। টেস্ট সিরিজটিতেই শুধু সফলতা পেয়েছিল তারা। আর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে তারা ফিরেছিল শূন্য হাতে। এবারো পাকিস্তানের বিপক্ষে এমন কিছুই করবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা এমন প্রত্যাশা সবার।
এদিকে বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করে, তবে বিশ্বকাপের শিরোপা নিয়ে নিজ দেশে যাওয়ার আগে বাংলাদেশে পা রাখবে তারা। বাংলাদেশ-পাকিস্তানের এ সিরিজে ২টি টেস্ট ম্যাচ ও ৩টি টি-টোয়েন্টি থাকবে বলে পিসিবির টুইটারে জানিয়েছে।
পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘পাকিস্তান সিরিজ বিশ্বকাপের পরপরই। এ ব্যাপারে ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগ পাকিস্তান বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। দুই ফরম্যাটে খেলা হবে। ওয়ানডে ও টেস্ট ম্যাচ বেশি থাকবে।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এখন শুধু পাকিস্তানের আসা নিয়েই কাজ করছে না, বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগ কাজ করছে আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফর ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিয়েও। এ নিয়ে তারা এখন একটু ব্যস্ত সময় পার করছেন বলেও জানিয়েছেন প্রধান নির্বাহী। এ ব্যাপারে নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের সঙ্গেও ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগ যোগাযোগ করছে। পাকিস্তান সিরিজের পরপরই আমাদের নিউজিল্যান্ড সফর আছে। খুব ঠাঁসা সূচি। সেভাবেই ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগ বোর্ডগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে।’
এদিকে গত দুই মাসে বাংলাদেশে সফর করে গেছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। টাইগারদের বিপক্ষে মাঠে তারা খুব বেশি সুবিধা করতে না পারলেও বাংলাদেশের করোনা ব্যবস্থাপনা নিয়ে তারা বেশ খুশি। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে দুটি দেশই বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া দল তো অনেক শর্তই দিয়ে বসেছিল। তবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যবিষয়ক ব্যবস্থা নিয়ে তারিফ করে গেছে তারা। মূলত অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড দল দুটিই করোনাবিধিতে অনেক কড়াকড়ি আরোপ করেছিল। এখন চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তান দলের ব্যবস্থাপনা কেমন হবে?। এ প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রধান নির্বাহীর কাছে।
এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘আমরা যে স্ট্যান্ডার্ড বেঞ্চমার্ক ঠিক করেছি সেই অনুযায়ীই আমাদের প্রটোকল ও জৈব সুরক্ষা বলয় হবে। আমরা আমাদের গাইডলাইন সফরকারী দলকে অবহিত করব এবং সে অনুযায়ীই তা বাস্তবায়ন করব।’
সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে পাকিস্তান তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ, এক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলে। এর মধ্যে বাংলাদেশ তিনটি ওয়ানডে ম্যাচের সব কয়টিতে জয় পায়। ফলে পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দেয় টাইগাররা। সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিও বাংলাদেশ জিতে নেয় দাপট দেখিয়ে। এরপর টেস্ট সিরিজে খেলে তারা। দুই ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজটির প্রথমটিতে বাংলাদেশ ড্র করে। ওই ম্যাচে ওপেনার তামিম ইকবাল ডাবল সেঞ্চুরি করেন। তবে শেষ ম্যাচটি হেরে যায় বাংলাদেশ। এতে করে পাকিস্তান একটি মাত্র জয় নিয়ে দেশে ফিরে যায়।
অবশ্য সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ড্র হওয়ায় এ সিরিজের শিরোপা জয় করে নেয় পাকিস্তান। এ সিরিজ খেলে যাওয়ার পর গত বছর বাংলাদেশ পাকিস্তান সফরে যায়। আর টাইগারা যাওয়ার পর তখনই পাকিস্তান বলেছিল তারা শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসবে।
Array