রাজধানীর ফকিরাপুলের রহমানিয়া আবাসিক হোটেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক যুবক। তার নাম মো. গিয়াস উদ্দিন (২০)। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার ( ৪ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
স্বজনরা জানায়, সে কাভার্ডভ্যানের চালকের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। অবিবাহিত গিয়াস চার ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। তার বাবার নাম মৃত নুর ইসলাম। থাকতো চট্টগ্রাম রাউজান উপজেলার শাহনগর এলাকায়। তাদের স্থানীয় বাড়ি ভোলার সদর উপজেলার ইলিশা গ্রামে।
বড় ভাই মো. সিদ্দিক জানান, গতরাতে রাউজান থানা পুলিশের মাধ্যমে খবর পাই গিয়াস ঢাকার একটি আবাসিক হোটেলে মারা গেছে। মতিঝিল থানার মাধ্যমে জানতে পারি লাশ ঢাকা মেডিকেলে রয়েছে। পরে মেডিকেলে এসে তার লাশ দেখতে পাই।
মতিঝিল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. নুরে আলম জানান, গতরাতে রহমানিয়া আবাসিক হোটেলের ম্যানেজারের মাধ্যমে খবর পেয়ে হোটেলে গিয়ে ২য় তলার ২০৫ নম্বর রুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ পাই। পরে দরজা ভেঙে ভিতর গিয়ে ফ্যানের সাথে বিছানার চাদর দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই তাকে। পরে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গিয়াস গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়না তদন্তের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।হোটেল বয় মফিজুল ইসলাম জানায়, ১লা ডিসেম্বর বিকেলে সে হোটেলের ২০৫ নম্বর কক্ষটি ভাড়া নেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার রুমের দরজা বন্ধ দেখে তাকে ডাকা হয়। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খুললে দরজার উপরের ফাঁকা জায়গা দিয়ে উকি দিয়ে দেখা যায় সে ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। হোটেলটিতে একাই উঠেছিলো সে।
Array