
গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানীতে ছয় বছর বয়সী সুমা নামের এক শিশুকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। নিখোঁজের ১০ ঘণ্টা পর পরিত্যক্ত একটি ভিটায় মিলেছে শিশু সুমার গলা কাটা লাশ। বুধবার দিবাগত রাত (বৃহস্পতিবার রাত) আড়াইটায় দিকে উপজেলার কুসুমদিয়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ভিটা থেকে এই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় জড়িতসন্দেহে প্রতিবেশী আজিম মোল্যা ও নূর মোহাম্মাদ মোল্যা নামে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকাবাসীর ধারণা শিশুটিকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। সুমা খানম কাশিয়ানীর উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের চাপ্তা গ্রামের মো. মিজান শেখের মেয়ের। সে চাপ্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
নিহত শিশু সুমার মা মোসা. রেহানা বেগম জানান, সুমাকে প্রতিবেশী মো. হাসু মোল্যার ছেলে নূর মোহাম্মাদ (১৪) বৃহস্পতিবার বিকালে খেলার জন্য বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সন্ধ্যায় সুমা বাড়িতে ফিরে না আসলে রেহানা বেগম নূর মোহাম্মাদকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে সুমা বাড়িতে চলে এসেছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে তার পিতা মো. মিজান শেখ রাতেই কাশিয়ানী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। রাত আড়াইটার সময়ে পাশের গ্রাম কুসুমদিয়ার একটি পরিত্যক্ত ভিটায় সুমার গলা কাটা লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সুমার লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠায়।
কাশিয়ানী থানার এসআই গণেশ বিশ্বাস জানান, সুমা বুধবার কাশিয়ানী উপজেলার চাপ্তা রেলস্টেশন থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পায়নি পরিবারের লোকেরা। বৃহস্পতিবার ভোররাত আড়াইটায় দিকে কুসুমদিয়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ভিটায় সুমার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে জানায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
কাশিয়ানী থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করি এবং এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রতিবেশী মো. মিন্টু মোল্যার ছেলে মো. আজিম মোল্যা (২১) এবং মো. হাসু মোল্যার ছেলে নূর মোহাম্মাদ (১৪) নামের দুজনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
Array