banglavoicebd : বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান নৌকা প্রতীক নিয়ে এবার নির্বাচনী লড়াইয়ে নামছেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে আপাতত ক্রিকেট নিয়ে থাকতে বলেছেন।
তবে আরেক তারকা ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজাকে ভোটে অংশ নিয়ে দোয়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এই কথা জানিয়েছেন। রবিবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির কার্যালয়ে তিনি এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বেশ কয়েক মাস আগে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দুই তারকা মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান এবার আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনে লড়বেন। গতকাল খবর ছড়িয়ে পড়ে মাশরাফি ও সাকিব আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনছেন। তবে রাতে সাকিব আল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, ক্রিকেটের স্বার্থে তিনি এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। আপাতত তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে কাদের বলেন, ‘মাশরাফি ও সাকিব দুজনই আমার সঙ্গে গতকাল (শনিবার) মোবাইলে কথা বলেছে। আমি তাদের একটা প্লান দিয়েছি। এরপর সাকিব গণভবনে গিয়ে দেখা করেছে। আমাদের নেত্রী তার সঙ্গে কথা বলেছেন। নেত্রী তাকে জাতীয় স্বার্থ আপাতত ক্রিকেটে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেছেন, সামনে বিশ্বকাপ, ক্রিকেটেই তোমার দরকার৷ দেশের স্বার্থে তুমি রাজনীতি থেকে বিরত থাকো।’
মাশরাফির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মাশরাফি আগ থেকেই নির্বাচন করতে চাচ্ছে। এ বিষয়ে সে আমারও সময় চেয়েছে। তারা দু’জনই জতীয়ভাবে জনপ্রিয়। একটি দলের (আওয়ামী লীগ) স্বার্থে তো পুরোপুরি দেশের স্বার্থ বিলিয়ে দেওয়া যায় না।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেটে এখন গ্যালাক্সি অব ট্যালেন্ট, অনেক তারকা। কিছুদিন আগে মাশরাফি, সাকিব ইনজুরির জন্য খেলতে পারেনি, তাই বলে কি আমরা জিততে পারিনি? তাছাড়া, মাশরাফিকে নড়াইলবাসী দীর্ঘ দিন থেকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চাইছে। আমাদের নেত্রী সাকিবকে ছেড়ে দিয়ে আবারও প্রমাণ করেছেন দলের থেকে দেশ বড়।’
বিএনপিসহ বিরোধী জোটের নির্বাচনের তফসিল পেছানোর দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শিডিউলের বিষয়টা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচনের কমিশনের এখতিয়ার। তারা নির্বাচন পেছাবেন কি পেছাবেন না এটা একান্তই তাদের ব্যাপার। শিডিউল পেছানোর সময়ের বিষয়টা এবং দাবি যৌক্তিক হতে হবে।’
‘সময় বাস্তবের দিকে চেয়ে সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে নির্বাচন কমিশন নিবে এটা আমরা প্রত্যাশা করি। আমরা নির্বাচনে তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছি। দাবি তো অনেকেই করবে সেটা সময়, পরিস্থিতি এলাউ করবে কি না সেটা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত।’
কাদের বলেন, ‘নির্বাচন শিডিউল পেছালে আমরা আপত্তি করবো না। দলীয়ভাবে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। নির্বাচনসংক্রান্ত প্রতিটা বিষয়ের এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবউল আলম হানিফ, দীপু মনি, হাছান মাহমুদ, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবদুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিল প্রমুখ।
Array