
ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ৩জি সেবা চালু করে বাংলাদেশ সরকার। এরপর গত বছরেই চালু হয় ৪জি সেবা। এর ধারাবাহিকতায় ৫ম প্রজন্মের সেবা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। কেমন হবে এই ৫জি সেবা তার কিছু টা দেখাতে গত বছরেই দেশে হয়ে গেছে একটি সম্মেলন। সাড়ে তিন জিবিপিএস পর্যন্ত গতি, স্বল্প ব্যাটারি চার্জ, কল ড্রপ ছাড়াই নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে ৫জি নেটওয়ার্কে। ইতিমধ্যে এর সাথে যুক্ত হয়েছে ৭২টি অপারেটর। কিন্তু ৫জি কিভাবে মোবাইল ফোনের ব্যবহার আরও উন্নত ও দ্রুতগতির করবে? তার জন্য আমাদের জেনে রাখা দরকার ৫জি সম্পর্কে ৫ টি তথ্য।
গতি যারা কেবল মাত্র ৩জি থেকে ৪জি তে এসেছেন তাদের জন্য আরও সুখবর হচ্ছে ৫জি নেটওয়ার্কে ইন্টারনেটের গতি হবে ৪জি এর তুলনায় ১০ থেকে ১০০ গুণ পর্যন্ত বেশি। যাদের এখন ৪জি তে একটি মুভি ডাউনলোড করতে ৩/৪ মিনিট সময় যাচ্ছে, তারা সামনেই ৩/৪ সেকেন্ডেই ডাউনলোড করে ফেলতে পারবেন সেই মুভি। ৪জি তে সর্বোচ্চ গতি যেখানে ৫০ এম বি পি এস, ৫ জি তে সেখানে প্রায় ৭০ জি বি পি এস, এমনকি সর্বনিম্ন গতিও ৪জির থেকে বহুগুন বেশি।
তরঙ্গ বিক্ষেপণ যেখানে ৪জি এন্টেনা সব দিকেই তরঙ্গ বিক্ষেপণ করে, সেখানে ৫জি শুধু মাত্র আপনার হাতের মোবাইল ফোনের দিকেই তরঙ্গ বিক্ষেপণ করবে।
সাড়া দেবার সময় ৫জি সাড়া দিতে খুব কম সময় নেয়। চালক বিহীন গাড়ির জন্য যা খুবই দরকার। কারণ গাড়িগুলোকে নিজেদের মধ্যে অতি দ্রুত যোগাযোগ করতে হয়।
রেডিও স্পেক্ট্রাম ৫জি যে রেডিও স্পেক্ট্রাম ব্যবহার করবে তা আগে কখনও ব্যবহার করা হয় নি। তবে স্বল্প তরঙ্গ দৈর্ঘ্য হবার কারণে এর অসুবিধাও আছে। এর আওতা থাকবে কম, সামনে কোন বাধা পেলে এটা সহজেই আটকে যাবে। এই তরঙ্গ কোন ভবন ভেদ করতে পারবে নাহ, এমনকি অচল হয়ে যাবে বৃষ্টির সময়।
এন্টেনা যেহেতু ৫জি প্রযুক্তির এন্টেনা গুলো বড় কোন কিছুই ভেদ করতে পারবে না, তাই এর জন্য এন্টেনা থাকতে হবে অনেক বেশি। আকারে ছোট হলেও পরিমাণে বেশি থাকার কারনে এগুলা কাজ করবে দলবদ্ধ ভাবে, কোন ভবনের ভিতরে সিগনাল পাঠানোর জন্য।
Array