
মহামারি রূপ নেওয়া করোনাভাইরাস ইতোমধ্যে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩০ লাখ ৬৫ হাজার মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ সাড়ে ১১ হাজার মানুষের।
বহু বার জিন পাল্টানো এই ভাইরাস প্রথম অবস্থায় শিশুদের তেমন ক্ষতি করতে না পারলেও ক্রমেই দেখা যাচ্ছে তা শিশুদেরও ক্ষতি করতে শুরু করেছে। কিছু শিশুর দেহে খুবই বিরল কিন্তু বিপজ্জনক কিছু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।
ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) বরাত দিয়ে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) তাদের চিকিৎসকদের সতর্ক করে দিয়েছে যে, লন্ডন এবং যুক্তরাজ্যের অন্য কিছু জায়গার হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ারে অত্যন্ত অসুস্থ কিছু শিশুর চিকিৎসা করা হচ্ছে- যাদের লক্ষণগুলো খুবই অস্বাভাবিক।
চিকিৎসকরা বলছেন, এসব উপসর্গের মধ্যে আছে ফ্লু-র মতো জ্বর এবং দেহের বিভিন্ন জায়গায় প্রদাহ বা জ্বালাপোড়ার অনুভূতি। এছাড়া থাকে তীব্র জ্বর, রক্তচাপ কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট এবং শরীরে ‘র্যাশ’ বা ফুসকুড়ি দেখা দেয়া। এতে আক্রান্তদের মধ্যে কিছু শিশু করোনাভাইরাস পজিটিভ বলে দেখা গেছে, তবে সবাই নয়। তাদের কারও কারও পেটে ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া, হৃৎপিণ্ডের প্রদাহ, এবং রক্ত পরীক্ষার অস্বাভাবিক ফল আসার মতো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে।
কত শিশুর মধ্যে এই নতুন ধরণের লক্ষণ দেখা গেছে তা স্পষ্ট নয়, তবে এ সংখ্যা কম বলেই মনে করা হচ্ছে। এছাড়া জানা যাচ্ছে যে, এই রোগীরা অল্পবয়স্ক- তবে নানা বয়সের।
উত্তর লন্ডনের কিছু ডাক্তারের কাছে আসা এই সতর্কবাণীতে বলা হয়- এমন উদ্বেগ বাড়ছে যে যুক্তরাজ্যের শিশুদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্কিত এক প্রদাহজনিত রোগ ছড়াচ্ছে। এতে বলা হয়, এমনও হতে পারে যে এটা হয়তো এমন এক সংক্রমণ যা এখনো শনাক্ত হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যদি কোনো একটা সংক্রমণের সাথে লড়াই করতে গিয়ে হার মেনে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়, তাহলে এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
এনএইচএসের সতর্কবাণীতে এ ক্ষেত্রে জরুরি চিকিৎসা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হওয়া শিশুর সংখ্যা খুবই কম।
কেমব্রিজের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাজিমা পাঠান জানিয়েছেন, স্পেন এবং ইতালিতে থাকা তার সহকর্মীরা শিশুদের মধ্যে একই ধরনের সংক্রমণের খবর তাকে জানিয়েছেন।
Array