
বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার বা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাঁচা চামড়া রফতানির সিদ্ধান্তে এখনো অটল রয়েছে। দেশের চামড়া ও দেশীয় শিল্পের বিকাশের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে কাঁচা চামড়ার সর্বনিম্য মূল্যের নজির স্থাপনেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত। দীর্ঘ কয়েক দশক এই রফতানি বন্ধ ছিল। সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিভিন্ন মহল ও দেশের সাধারণ মানুষ সাধুবাদ জানালেও ট্যানারি ব্যবসায়ীরা বিরোধিতা করছে। চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত থেকে সরকার যেন সরে আসে সে জন্য ব্যবসায়ীরা নানা জায়গায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। বিভিন্ন এতিমখানা, সুশীলসমাজ ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের সঠিক পরিকল্পনার অভাবের কারণেই আজ দেশে চামড়ার বাজারের এই অবস্থা। সরকার সঠিকভাবে এস্টিমেট করেনি। শুধু একটা নির্দেশনা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। তবে আগামী ১৭ আগস্ট থেকে ট্যানারি মালিকরা সরকার নির্ধারিত দরেই মাঠ পর্যায় থেকে চামড়া কিনবে বলে জানান।
এ দিকে গত ১৩ আগস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাঁচা চামড়া রফতানির অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একই সাথে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত মূল্যে কাঁচা চামড়া বেচাকেনা নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চাওয়া হয়। পরদিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ট্যানারি মালিকদের সাথে আলোচনা করে ২০ আগস্টের মধ্যে চামড়া কেনার অনুরোধ জানালে ট্যানারি মালিকরা সরকারের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চামড়া কেনার সিদ্ধান্ত নেন। তবে হঠাৎ করে সরকারের নেয়া এ সিদ্ধান্তে এই শিল্প খাতের কোনো উপকার হবে না বলে মনে করেন মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন আড়তদাররা। কারণ যা ক্ষতি হওয়ার গত কয়েক দিনেই হয়ে গেছে। তারা বলেন, ২০১৪ সাল থেকেই ক্রমে মূল্যপতনের এই দশা। সরকার যদি তখন থেকেই কঠোরভাবে কোনো পদক্ষেপ নিতো, তাহলে আজ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
Array