
তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে বিভিন্ন প্রাণীদের মস্তিষ্ক থেকে অনুপ্রাণিত প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে, ছোট্ট কৃমি Caenorhabditis elegans-এর মস্তিষ্ক বিজ্ঞানীদের আকৃষ্ট করেছে, কারণ এটি অত্যন্ত দক্ষভাবে কাজ করতে পারে। এই ধারণা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গবেষকরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আরও কম শক্তি খরচে ও দ্রুতগতিতে কাজ করানোর পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন। বর্তমানে প্রচলিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পদ্ধতিগুলো তথ্য বিশ্লেষণ করতে প্রচুর পরিমাণে শক্তি এবং তথ্য ব্যবহার করে। অধিকাংশ মডেল বড় এবং জটিল, যা অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করে।
কিন্তু মানুষের মস্তিষ্ক অনেক বেশি দক্ষ। এটি অল্প তথ্য ব্যবহার করেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এ কারণেই বিজ্ঞানীরা নিউরোমরফিক কম্পিউটিং নিয়ে গবেষণা করছেন, যা মানুষের মস্তিষ্কের মতো কাজ করতে পারে। নিউরোমরফিক কম্পিউটিং এমন এক ধরনের প্রযুক্তি যা কৃত্রিম নিউরনের মাধ্যমে তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করে।
সাধারণত প্রচলিত কম্পিউটিং সিস্টেমে প্রসেসিং ও মেমোরি আলাদা থাকে। কিন্তু নিউরোমরফিক সিস্টেমে মেমোরি ও প্রসেসিং একই জায়গায় থাকে, যার ফলে এটি দ্রুততর ও কম শক্তি খরচে কাজ করতে পারে। নিউরোমরফিক প্রযুক্তির একটি চ্যালেঞ্জ হলো এটি প্রচলিত কম্পিউটিং অবকাঠামোর সঙ্গে সহজে একীভূত হয় না। অর্থাৎ, প্রচলিত সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার সিস্টেমগুলোর সঙ্গে এটি ব্যবহারের উপযোগী করতে হলে নতুন ধরনের কম্পাইলার ও অ্যালগরিদম দরকার হবে। এই প্রযুক্তির আরও উন্নয়ন হলে এটি শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নয়, বরং বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানবজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ফলে, এটি প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
Array