
নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজধানীর খামারবাড়িতে রোববার (১৬ মার্চ) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মহাপরিচালক ছাইফুল আলমসহ সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের অপসারণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে অংশ নেন।
দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব মো. রেজাউল ইসলাম (মুকুল) নেতৃত্বে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। তবে কিছুক্ষণ পর টহলরত সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনকারীদের সরে যেতে বাধ্য করেন। কৃষি কর্মকর্তারা অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে গেলেও, ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীরা খামারবাড়ি মোড়ে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের অর্থ সম্পাদক কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম ফাহিম।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে। তারা আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে সরে যেতে অনুরোধ করেন। খামারবাড়ি এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ), যখন কৃষি মন্ত্রণালয় ডিএইর প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপপরিচালক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদকে মেহেরপুরের বারাদি হর্টিকালচার সেন্টারে বদলি করার প্রজ্ঞাপন জারি করে। তার স্থলাভিষিক্ত করা হয় উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের উপপরিচালক (আমদানি) মো. মুরাদুল হাসানকে। এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই মূলত আন্দোলন শুরু হয়।
এ প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছাইফুল আলম বলেন, “সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সমঝোতা বা সমাপ্তির ঘোষণা দেওয়া হয়নি। আন্দোলনকারীরা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ অবস্থায় পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা নির্ভর করছে প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর।